তাসকিন আহমেদের জোড়া আঘাত দিয়ে শুরু। এরপর বল হাতে উইকেট তুলে নেওয়ার মিছিলে যোগ দিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন। সবশেষ জোড়া আঘাত হেনেছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। টানা উইকেট পতনে এলোমেলো হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৪.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুলেছে লঙ্কানরা।
সিরিজ জেতার লক্ষ্যে আজ তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দুই দলই ম্যাচ জিতেছে ১টি করে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ দল।
আজকের ম্যাচে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে স্বাগতিকরা। লিটন দাস বাদ পড়ায় দলে ঢুকলেও একাদশে নেই জাকের আলী। খেলছেন আরেক ওপেনার এনামুল হক। চোটে ছিটকে যাওয়া তানজিম হাসান সাকিবের জায়গায় ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আর বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের জায়গায় ঢুকেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে শুরু করেছিলেন শরিফুল ইসলাম। আরেক প্রান্তে বোলিংয়ে এসে তৃতীয় বলেই উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা (১)। যদিও রিভিও নিলে বেঁচে যেতেন লঙ্কান ওপেনার। কারণ রিপ্লেতে দেখা যায়, বল মিস করতো স্ট্যাম্প!
নিজের পরবর্তী ওভারে এসে ফের আঘাত হানেন তাসকিন। এবার তার দারুণ লেংথের বলে শরীর থেকে আগ বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে খোঁচা দিতে পারেন আভিস্কা ফার্নান্ডো। এবার আর রিভিও নেওয়ার দরকার পড়েনি। সোজা হাঁটা শুরু করেন আভিস্কা। ১৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা মিলে ইনিংস মেরামত শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাদের এই জুটি বেশিদূর যেতে পারেনি মোস্তাফিজুর রহমানের কারণে। ১১তম ওভারে প্রথমবার বল হাতে নেন দলে ফেরা ‘দ্য ফিজ’। দ্বিতীয় বলেই পেয়ে যান উইকেটের দেখা। ভেতরের দিক ঢোকা বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন সামারাবিক্রমা (১৫)।
এরপর ১৮তম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এলেন রিশাদ। প্রথম বলেই পেলেন উইকেটের দেখা। তার টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে উইকেটকিপার মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন কুশল মেন্ডিস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটিই রিশাদের প্রথম উইকেট (আগের দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন)। মেন্ডিস বিদায়ের আগে ৫১ বলে ২৯ রান করেন।
মেন্ডিস ফেরার পর আরেকটি জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিল শ্রীলঙ্কা। লিয়ানাগের সঙ্গে চারিথ আসালাঙ্কার জুটি মোটামুটি এগিয়েও যাচ্ছিল। কিন্তু ২৫তম ওভারে বল হাতে ফের সাফল্য পান মোস্তাফিজ। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে এজড হন আসালাঙ্কা। ৪৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি।
এরপর লিয়ানাগে ও ভেল্লালাগে মিলে টিকে থাকার লড়াই শুরু করেন। এর মধ্য ভেল্লালাগে ১৬তম বলে প্রথম রান নিতে সক্ষম হন। কিন্তু মিরাজের বলে স্লগ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৮ বলে ১ রান করেন।