গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: একে একে মারা গেলেন ১৩ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ফাইল ছবি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হওয়া মশিউর রহমান (২২) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে একে একে ১৩ জনের মৃত্যু হলো।

১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান মশিউর। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

universel cardiac hospital

মশিউরের সম্বন্ধী সানোয়ার হোসেন জানান, তাদের বাড়ি লালমনিরহাটে হাতিবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামে। বাবার নাম হামিদুল মিয়া। স্ত্রী শাহানা আক্তারকে নিয়ে কালিয়াকৈরে ভাড়া থাকতেন মশিউর। স্থানীয় এটিএস অ্যাপারেলস নামে পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। ঘটনার দিন গার্মেন্টসে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার সামনে জটলা দেখে সেখানে এগিয়ে গেলে বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধ হন মশিউর।

এদিকে একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান ইয়াসিন আরাফাত (২১) নামে আরও একজন।

১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে তিনি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে। এ সময়ে বিস্ফোরণে আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন।

দগ্ধদের উদ্ধার করে কোনাবাড়ী এলাকার কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

শেয়ার করুন