সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

মত ও পথ ডেস্ক

ফাইল ছবিটি সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এর আগে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এ যোগ দিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর ও ছবি প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে কোনো কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

বিএনএমের সদস্য হয়ে আওয়ামী লীগ থেকে কিভাবে সংসদ সদস্য হয়েছেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে ইলেকশন (নির্বাচন) করেছে, জয় লাভ করেছে। পার্টির কাছে নমিনেশন (মনোনয়ন) চাওয়ার সময় সে পার্টির সদস্য। তার আগে তো সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তখন তাকে তো প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে। সেভাবেই আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। সে এমপি হয়েছে নির্বাচনে। আমি এই বিষয়ে আর কিছু জানি না।

নির্বাচনের আগে সরকার কিংস পার্টি তৈরি করেছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফুটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটার রেজিস্ট্রেশন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। কোন দল কে রিকগনিশন (প্রতিনিধিত্ব) করে এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) বন্ধুরাষ্ট্র বলতে ইন্ডিয়াকে বলেছে। বলেছে তোমরা স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছো, এখন গণতন্ত্র উদ্ধারে তোমাদের সাহায্য চাই। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। তাদের সাহায্য চাওয়ার অর্থ ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনোভাবে বিদেশি রাষ্ট্র এসে ক্ষমতায় বসাবে এটা তো হতে পারে না। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।

বিএনপির কাছে বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগীতার অর্থ মানে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক আছে। আমাদের নির্বাচন হয়েছে। বিএনপির কাছে বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগীতার অর্থ তাদেরকে ক্ষমতা বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া কেউ ক্ষমতায় বসাতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমরা একটি দেশ। গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদের একটা মানদণ্ড আছে। গণতন্ত্রের ব্যাপারে কেউ পারফেক্ট না। এদেশে ২১ বছর গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি।

এর আগে গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চায় একটি এক দলীয় শাসনের জন্য, আমরা কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চাই একটি ভিন্ন কারণে, সেটি হলো একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য। আমরা তো কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা চাই না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন