দুর্নীতির দায়ে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

মত ও পথ ডেস্ক

ফাইল ছবি

ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং পদত্যাগ করেছেন। দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে এক বছরের বেশি কিছু সময়ের মাথায় পদত্যাগ করলেন তিনি।

তার বিরুদ্ধে দলীয় নিয়ম ভঙ্গ এবং নেতিবাচকভাবে দলের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত করার কথা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

universel cardiac hospital

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র এক বছর দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করেছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং। বুধবার দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকের পর সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তিনি দলীয় নিয়ম ভঙ্গ করেছেন এবং দলের সুনামকে নেতিবাচকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।

বিবিসি বলছে, ভো ভ্যান থুং তার নিজ প্রদেশে দুর্নীতি কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার কারণে পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া অন্য একজন প্রেসিডেন্টের স্থলাভিষিক্ত হতে গত বছর তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

মূলত ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্ব দুর্নীতিকে একটি সমস্যা হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং সমাধান করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করছে। ভিয়েতনামের নেতৃত্বের পরিবর্তন সাধারণত সাবধানে পরিকল্পিত এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে করা হয়।

সুতরাং মাত্র এক বছরের মধ্যে দুজন প্রেসিডেন্টকে হারানো এবং উভয়ই দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কারণে পদত্যাগ করার বিষয়টি এটিই দেখায় যে, দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে দুর্নীতি মোকাবিলা করা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বিবিসি বলছে, ভিয়েতনামের রাজনীতির শীর্ষে থাকা ‘চারটি স্তম্ভের’ একজন প্রেসিডেন্ট। কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক চারটি পদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী, যদিও ক্ষমতা কাঠামোতে প্রেসিডেন্টেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্তৃত্ব রয়েছে। বাকি দুজন হলেন- প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান।

গত বছর যখন ভো ভ্যান থুংকে নির্বাচিত করা হয়েছিল তখন তাকে একজন দক্ষ ব্যক্তি এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখা হয়েছিল। মূলত দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচারণার নেতৃত্বদানকারী শক্তিশালী পার্টি প্রধান নগুয়েন ফু ট্রংয়ের সমর্থন সেসময় পেয়েছিলেন তিনি।

আর এখন পূর্বসূরি নগুয়েন জুয়ান ফুকের মতো ভো ভ্যান থুংকেও তার নিজ প্রদেশে অজ্ঞাত কেলেঙ্কারির সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। যদিও সরকার গোপনীয়ভাবে কেবলমাত্র সেই ত্রুটিগুলোর কথাই উল্লেখ করেছে যা পার্টির ভাবমূর্তিকে জনসাধারণের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

বিবিসি বলছে, থুংয়ের পদত্যাগের জন্য জাতীয় পরিষদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রয়োজন, যা বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসছে।

মাত্র কয়েক দিন আগে পুলিশ মধ্য ভিয়েতনামের কোয়াং এনগাই প্রদেশের একজন সাবেক নেতাকে কথিত দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করে। থুং সেখানে দলীয় প্রধান থাকাকালীন ওই সেতা সেখানে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

শেয়ার করুন