কেজরিওয়াল গ্রেফতার : ভোটের ঘোষণায় বিরোধীদের ধরপাকড় চলছে, অভিযোগ কংগ্রেস-তৃণমূলের

মত ও পথ ডেস্ক

অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে সরব হয়েছে ভারতীয় কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো বিজেপি-বিরোধী দলগুলো। লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশজুড়ে আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার পরে এভাবে কোনো নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের তীব্র বিরোধিতা করে একে ‘লজ্জাজনক’ বলেছে কংগ্রেসও।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) প্রায় দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

universel cardiac hospital

এ ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী মারলেনা বলেছেন, দু’বছর ধরে আবগারি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করেছেন অন্তত ৫০০ কর্মকর্তা। তবু এখন পর্যন্ত এক টাকাও উদ্ধার করতে পারেননি তারা!

কী যুক্তিতে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তার দল আম আদমি পার্টি (এএপি)।

তৃণমূলের রাজ্যসভা সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ভোটপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। তারপরেই এই ঘটনা! বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, মুখ্যমন্ত্রী, নির্বাচনী এজেন্ট, কর্মীদের হেনস্থা-গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমাদের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কী?

ডেরেক আরও লিখেছেন, বেআইনি অধ্যাদেশ জারি করে ওনার (কেজরিওয়াল) প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের আগেই যদি এভাবে মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়, তাহলে কীভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব? সুপ্রিম কোর্ট এবং নির্বাচন কমিশন যদি এখনই পদক্ষেপ না নেয়, বিজেপির এই প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কে রুখে দাঁড়াবে?

ডেরেকের এক্স হ্যান্ডেলের এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, একজন ভীত স্বৈরচারী শাসকই চায় মৃত গণতন্ত্র তৈরি করতে। মিডিয়াসহ সব প্রতিষ্ঠান দখল, দল ভাঙা, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে চাঁদা তোলা, প্রধান বিরোধী দলের তহবিল কেড়ে নেওয়া যথেষ্ট ছিল না। এখন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীদেরও গ্রেফতার করতে শুরু করেছে। ভারতবাসী এর উপযুক্ত জবাব দেবে।

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিকে ‘লজ্জাজনক ও অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা। নিন্দা জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, এসপি প্রধান অখিলেশ যাদবের মতো নেতারাও।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

শেয়ার করুন