রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর একটি কনসার্ট হলে হামলার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ বিষয়ে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, বর্বর এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া এ ঘটনায় রোববার (২৪ মার্চ) দেশজুড়ে জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন তিনি।
ভাষণে পুতিন বলেন, আমি আজ আপনাদের সঙ্গে বর্বর সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে কথা বলছি, যার শিকার হয়েছেন শতাধিক নিরীহ মানুষ। হামলাকারীরা ভেবেছিল, তারা খুব সহজেই সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনে পালিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু সীমান্ত অতিক্রম করার আগেই চার বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করে আমাদের ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যে চার সন্ত্রাসী বন্দুক হামলা চালিয়েছে, তাদের আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, হামলা শেষে তারা ইউক্রেনের দিকে যাচ্ছিল এবং তারা যাতে খুব সহজেই সীমান্ত অতিক্রম করতে পারে, সে প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হয়েছিল।
এফএসবি’র দাবি, এ হামলার ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের সঙ্গে ইউক্রেনের যোগাযোগ ছিল। এরই মধ্যে হামলায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, আটকদের মধ্যে চারজন সরাসরি হামলায় জড়িত ছিলেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে একটি ক্রোকাস সিটি হলের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল অস্ত্রধারী। রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, পাঁচজন বন্দুকধারী এ হামলা চালায়। প্রথমে গুলিবর্ষণের পর সেখানে গ্রেনেড বা বোমা নিক্ষেপ করা হয়। তাতে হলটিতে আগুন ধরে যায়। আর তাতেই ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, মস্কোতে তাদের যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হতাহত করেছেন ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে যেতে পেরেছেন।
সূত্র: তাস, বিবিসি