রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় কনসার্ট হলে ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো। তারা সবাইকে বোঝাতে চাচ্ছে, এই হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাত রয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার এমন দাবি করেছেন রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুতনিকের মূল প্রতিষ্ঠান রোসিয়া সেগোদনিয়ার প্রধান সম্পাদক মার্গারিতা সিমোনিয়ান। তিনি বলেছেন, রুশ কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে হামলাকারীদের নাম জানতে পেরেছে। জিজ্ঞাসাবাদে এই ‘সন্ত্রাসীরা’ সব তথ্য দিয়েছেন। খবর স্পুতনিকের।
মার্গারিতা সিমোনিয়ানের ভাষ্যমতে, হামলাকারীরা এমনভাবে হামলা চালিয়েছেন যেন পশ্চিমারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বোঝাতে পারে, এই হামলার পেছনে আইএসের হাত রয়েছে। তবে হামলায় সন্ত্রাসী সংগঠনটি জড়িত নয়। এই হামলা চালিয়েছেন ইউক্রেনীয়রা।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর উত্তরে ক্রাসনোগোর্স্ক অঞ্চলে ক্রোকাস সিটি হলে শত শত মানুষ কনসার্ট দেখতে জড়ো হয়েছিলেন। গান শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে সশস্ত্র কয়েকজন সেখানে ঢুকে পড়েন। তারা নির্বিচার গুলি ছুড়তে শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ১৪৩ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয় যে এর সঙ্গে জড়িত আইএস। ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও বলা হয়, তাদের এ হামলার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। পরে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক অঞ্চল থেকে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করেন রুশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের দাবি, সীমান্তের ওপারে ইউক্রেনে সন্দেহভাজন এই ব্যক্তিদের ঘাঁটি রয়েছে।
রাশিয়ার এমন দাবির পর ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ আবারও বলে, এ হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। তবে রাশিয়ার ভূখণ্ডে বহু আগে থেকেই হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে। মস্কোর অভিযোগ, রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে গোলা হামলা চালিয়েছে তারা। এ ছাড়া রুশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দারিয়া দুগিনা ও সাংবাদিক ভ্লাদলেন তারাস্কি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই সংস্থাটি জড়িত।
শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ‘যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, আমি তাদের সবার প্রতি আমার গভীর, আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করছি। পুরো দেশ এবং জনগণ আপনাদের সঙ্গে শোকাহত।’