সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ দলকে ৫১১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ৪১৮ রান করে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করেছে লঙ্কানরা, লিড ৫১০ রান। বাংলাদেশের হয়ে ৭৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও শতক করেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। এ দুজনের শতকে ভর করেই প্রথম ইনিংসে ২৮০ রান করেছিল সফরকারীরা। জবাবে ১৮৮ রানে থেমেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। সিলেট টেস্ট জিততে হলে এখন বাংলাদেশকে গড়তে হবে রেকর্ড। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান রান তাড়া করার রেকর্ড আছে। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ রেকর্ড গড়েছিল শ্রীলঙ্কা।
আজ সকালে ৩৬ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। ম্যাচে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশ দলের দ্রুত উইকেট নিতে হতো। দিনের তৃতীয় ওভারে আগেরদিন বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামা বিশ্ব ফার্নান্ডোকে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন খালেদ আহমেদ। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সাফল্য বলতে গেলে ওই এক উইকেটই। এরপর থেকেই শুরু ধনাঞ্জয়া ও মেন্ডিসের যুগলবন্দী। প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের জুটি গড়া এই দুই লঙ্কান আজ যোগ করেন ১৭৩ রান।
দ্বিতীয় সেশনে প্রথম শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক হিসেবে দুই ইনিংসে শতক করার রেকর্ড গড়েন ধনাঞ্জয়া। দুইবার জীবন পেয়ে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৮ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মারতে গিয়ে আউট হন তিনি। মিরাজ আউট করেন প্রভাত জয়সুরিয়া ও লাহিরু কুমারাকেও। কিন্তু টিকে ছিলেন মেন্ডিস।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকের পর সেটিকে দেড় শ’তে নিয়ে যান এই বাঁহাতি। ইনিংসের ১১১তম ওভারে তাইজুল ইসলামের বলে মারতে ছক্কা মারার চেষ্টায় শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ আউট হলে থামে মেন্ডিসের ম্যারাথন ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ২৩৭ বলে ১৬৪ রান। ১৬টি চার ও ৬টি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে।
তাতে দুই ইনিংসেই শতক করে রেকর্ড বইয়েও নাম লেখান ধনাঞ্জয়া ও মেন্ডিস। একই টেস্টের দুই ইনিংসে দুইজন ব্যাটসম্যানের শতক করার তৃতীয় ঘটনা এটি। ১৯৭৪ সালে গ্রেগ চ্যাপেল ও ইয়ান চ্যাপেল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো এই কীর্তি গড়েন। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে মিসবাহ উল হক ও আজহার আলী দুই ইনিংসে শতক করেন।