লেবাননে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিহে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে বুধবার ভোরে দুটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের হেব্বারিয়েহ গ্রামে ইসলামিক গ্রুপের জরুরি ও ত্রাণ কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব লেবাননের দুটি শহরের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হন বলে টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানিয়েছে। এছাড়া এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলও।
মূলত গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে সীমান্ত যুদ্ধ ধীরে ধীরে বেড়েছে এবং লেবাননে কয়েক ডজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
এর আগে চলতি মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লেবাননে প্রাণঘাতী হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৫ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের সদস্য ছিলেন চারজন।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধে গত অক্টোবর থেকেই ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাথে আন্তঃসীমান্ত সংঘাতে ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী এই গোষ্ঠীটির দুই শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে প্রায় ৫০ জন বেসামরিক নাগরিকেরও প্রাণহানি ঘটেছে। আর হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক ডজনেরও বেশি সদস্য এবং পাঁচ বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
কয়েক মাস ধরে চলা এই হামলা-পাল্টা হামলায় ইসরায়েল-লেবানন— উভয়ের সীমান্তের গ্রামগুলোর লাখ লাখ বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মতো হিজবুল্লাহও ইরানের মিত্র। এই গোষ্ঠীটি বলেছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে তারা।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ হলে হিজবুল্লাহও ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করবে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। তবে গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে হিজবুল্লাহও যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।