ভারতের প্রতিবাদের পর কেজরিওয়ালকে নিয়ে আবার সরব যুক্তরাষ্ট্র

মত ও পথ ডেস্ক

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ফাইল ছবি

ভারতের আপত্তি অগ্রাহ্য করে যুক্তরাষ্ট্র আবার কেজরিওয়াল প্রসঙ্গে কথা বলেছে। শুধু তা–ই নয়, যুক্তরাষ্ট্র এবার কংগ্রেসের ব্যাংক হিসাব ‘জব্দ’ করা নিয়েও প্রশ্ন তুলল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার ও বিচার নিয়ে বিদেশে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথম মন্তব্য করেছিল জার্মানি। এরপর যুক্তরাষ্ট্র। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।

ভারত দুই দেশের ক্ষেত্রেই আপত্তি জানায়। দুই দেশের কূটনীতিকদের তলব করে জানিয়ে দেয়, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য অনভিপ্রেত। কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। এ কথাও জানায়, এই প্রবণতা বন্ধ না হলে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। ভারত প্রথমে ডেকেছিল দিল্লিতে জার্মান দূতাবাসের শীর্ষ কূটনীতিক জর্জ এঞ্জওয়াইরাকে, গত বুধবার তলব করে যুক্তরাষ্ট্রের অস্থায়ী প্রধান গ্লোরিয়া বারবেনাকে।

দুই কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতি জারি করে ওই মন্তব্য সম্পর্কে দেশের কড়া মনোভাব ও আপত্তির কথা জানানো হয়। জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র—দুই দেশই কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার ও বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয়ী। তাদের মন্তব্যে সেটাই ধরা পড়েছিল। দুই দেশই বলেছিল, তারা চায় বিচার সুষ্ঠুভাবে দ্রুত হোক। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলো যেন অটুট থাকে।

গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত কঠোর মনোভাবের কথা জানিয়ে দেয়। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা পর সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন।

গ্লোরিয়া বারবেনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের ৪০ মিনিট ধরে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কূটনৈতিক স্তরে কী আলোচনা হয়েছে তা প্রকাশ করা সমীচীন নয়। তবে আমরা আমাদের অবস্থানে একই রকম আছি। আইনি প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ হয়, ন্যায্য হয় এবং দ্রুত শেষ হয়—সেদিকে আমাদের নজর থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার ও তার বিচারের ওপর আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকছে।

ভারতের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে মিলার কংগ্রেস পার্টির বিষয়টিও তোলেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের বেশ কিছু ব্যাংক হিসাব সে দেশের সরকার জব্দ (ফ্রিজ) করেছে। তারা বলেছে, এ কারণে নির্বাচনী প্রচার চালাতে তাদের অসুবিধা হবে। আমরা চাই প্রতিটি বিষয়ের বিচারই যেন সুষ্ঠুভাবে দ্রুত ও ন্যায্য হয়। আশা করি, এতে কারও আপত্তি থাকবে না।

শেয়ার করুন