মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ পুষ্টিকর খাবার কাটছাঁট করছেন: আনু মুহাম্মদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশের বড় অংশের মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। তার ফলে অনেকে চিকিৎসা খরচ মেটাতে পারছেন না। প্রতিদিনের খাবারের খরচে একটু একটু করে বাদ যাচ্ছে। পুষ্টিকর খাবারের জায়গায় আরেকটা খাবার ঢুকছে। প্রকৃত আয় কমায় আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এক নাগরিক সমাবেশে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি ও দফায় দফায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

universel cardiac hospital

স্বল্প আয়ের মানুষের দুরবস্থার জন্য নিত্যপণ্যের মূলবৃদ্ধি ছাড়াও চাঁদাবাজিকে দায়ী করেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেছেন, চায়ের দোকান বা হকার, ভ্যানগাড়ি নিয়ে চলে—তাদের চাঁদা দিতে হয় নিয়মিত। যার পরিমাণ শতকোটি টাকা। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের মতো ক্ষমতাসীন সংগঠন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো প্রশাসন এসবের সুবিধাভোগী।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বেশ কিছু কারণের কথা উল্লেখ করেন আনু মুহাম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। কয়েকটা কোম্পানি একচেটিয়াভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির এটা বড় কারণ।

আনু মুহাম্মদ বলেন, জিনিসপত্রের দাম তো বাড়তেই পারে, উৎপাদন খরচ বাড়লে এবং চাহিদা বাড়লে জিনিসপত্রের দাম বাড়তেই পারে। সবজি থেকে কোনো কিছুর সরবরাহে সমস্যা নেই। তারপরও দাম বেড়ে যাচ্ছে। কতিপয় গোষ্ঠী বা চোরের হস্ত হচ্ছে প্রধান কারণ। উৎপাদন বা বিতরণ—কোনো কাজে না থেকে একটা বড় গোষ্ঠী দ্রুত টাকা বানাচ্ছে।

শেয়ার করুন