মুক্তিযোদ্ধার ‘ছদ্মাবরণে’ জিয়া ছিলেন ‘পাকিস্তানের চর’: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংগৃহীত ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের চর ও দোসর হয়ে কাজ করেছেন। এই সত্য উন্মোচিত হওয়ায় বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ সভার আয়োজন করে।

ঢাকার সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে বা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনোভাবে সাহায্য করেছে, এমনকি একবেলা খাইয়েছে বা এক গ্লাস পানি খাইয়েছে, জানলেও সেসব পরিবারের ওপর নেমে আসত পাকিস্তানি সেনাদের অকথ্য নির্যাতন। আর জিয়াউর রহমান যুদ্ধক্ষেত্রে থাকে আর তার পরিবার, খালেদা জিয়া দুই সন্তান নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানিদের আরাম-আয়েশে থাকে, এ থেকেই তো পরিষ্কার যে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর, গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। এর তো আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না।

আর জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের লেখা চিঠির কপি নিজের কাছে আছে বলে দাবি করেন হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, সেই চিঠিতে লেখা আছে ‘তোমার (জিয়াউর রহমান) কাজে আমরা সন্তুষ্ট, তোমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করো না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ বিএনপি মিথ্যাচার করে বলে, আওয়ামী লীগ নেতারা তখন কোথায় ছিল, অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আওয়ামী লীগ সরকার, যার রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, যিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ—এই সরকারের অধীন জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ৪০০ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেছেন। যদিও তিনি কোনো সম্মুখ সমরে কখনো যাননি।

শেয়ার করুন