ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে গত বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় চলমান আন্দোলনে একটি ‘অন্ধকার সংগঠনের’ ইন্ধন দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ ছাত্র। এই ছাত্ররা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে একটি অন্ধকার সংগঠনের ইন্ধনে বুয়েটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলছেন, তাকেই ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷
আজ শনিবার বেলা তিনটার পর বুয়েট শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলা হয়। এতে অংশ নেওয়া পাঁচ বুয়েট ছাত্র নিজেদের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছেলে’ হিসেবে দাবি করেছেন।
মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে সকাল ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন কয়েক শ শিক্ষার্থী৷
এমন প্রেক্ষাপটে বেলা তিনটার পর ওই পাঁচ ছাত্র বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তানভীর মাহমুদ। তিনি দাবি করেন, তারা পাঁচজন কোনো ছাত্রসংগঠনের পদধারী নন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে সুনামগঞ্জের হাওরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার অভিযোগে বুয়েটের প্রাক্তন এবং বর্তমান ৩৪ জন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হন। তাদের নামে এখনো আদালতে মামলা চলমান এবং সবাই জামিনে আছেন৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী মৌলবাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করি৷ এই মানববন্ধন করার পর আমাদের চিহ্নিত করে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং জবাবদিহি চাওয়া হয়। বিভিন্ন হলের কক্ষে কক্ষে রাত ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ডেকে জবাবদিহি চাওয়া হয়। এমনকি মানববন্ধনকে একটি অপরাধের সঙ্গে তুলনা করে আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।