ঠিক যেন সিলেট টেস্টের চিত্র চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঞ্চস্থ করলো বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা। শ্রীলঙ্কার করা ৫৩১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে টাইগাররা। ফলে প্রথম ইনিংসেই শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৩৫৩ রান পিছিয়ে পড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
১ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে বাকি ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে মাত্র ১২৩ রান যোগ করতে পেরেছে টাইগার ব্যাটাররা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৪ রান সংগ্রহ করেন ওপেনার জাকির হাসান।
নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হাসান, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস কিংবা শাহাদাত হোসেন দিপু- বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ তারা। এই ব্যাটিং লাইনআপই যদি মুখ থুবড়ে পড়ে, তাহলে অন্যদের আর কিছুই করার থাকে না। ফলশ্রুতিতে সিলেটের মতো চট্টগ্রাম টেস্টেও বড় পরাজয়ের শঙ্কায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
এর আগে জাকির হাসান এবং তাইজুল ইসরাম মিলে প্রাথমিক বিপর্যয়টা সামাল দিতে পারলেও হঠাৎ ঝড়ে ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ৯৬ থেকে ১০৫- এই ৯ রানের মধ্যে একে একে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় টাইগাররা।
যে উইকেটে লঙ্কান ব্যাটাররা রাজত্ব করেছে সেই উইকেট পরিণত হলো বাংলাদেশের ব্যাটারদের বধ্যভূমি। লঙ্কান বোলাররাই এখন সেখানে রাজত্ব করে বেড়াচ্ছেন। বিশ্ব ফার্নান্দো নেন ২ উইকেট এবং প্রাবাথ জয়সুরিয়া নেন ১ উইকেট।
৫৩১ রানের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় এবং জাকির হাসান গড়েন ৪৭ রানের জুটি। লাহিরু কুমারার বলে ২১ রান করে বোল্ড হয়ে যান জয়। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামেন তাইজুল ইসলাম।
দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা দু‘জন। আজ তৃতীয়দিন প্রথম দেড়ঘণ্টা কাটিয়ে দেন তারা দু‘জন। এরই মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন জাকির হাসান। শেষ পর্যন্ত ভাঙে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হয়ে যান জাকির হাসান। ১০৪ বলে ৫৪ রান করেন তিনি।
এ সময় উইকেটে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ দলের এই টপ অর্ডারের ওপর অনেক প্রত্যাশা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই সিরিজে ওয়ানডে ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ছাড়া আর কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। যেন ব্যাটিংই ভুলে গেছেন তিনি। আজও ১১ বল খেলে আউট হয়েছেন তিনি ১ রান করে। এরপর দলীয় ১০৫ রানের মাথায় আউট হয়ে যান তাইজুল ইসলামও।