গাজায় লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। সেখানে সংঘাত থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। কয়েক মাস ধরে চলা সংঘাতে গাজায় প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ এবং বিশ্বব্যাংকের একটি যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলার প্রথম চার মাসে গাজা উপত্যকায় অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে ১৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। খবর আল জাজিরার।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় সাত ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জনই বিদেশি নাগরিক এবং একজন ফিলিস্তিনি। এই ঘটনার পর জরুরি তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় নতুন করে সাত ত্রাণকর্মীর মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত সেখানে মোট ত্রাণকর্মীর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯৬ জনে। এর মধ্যে ১৭৫ জনের বেশি জাতিসংঘের কর্মী। এই হামলাকে তিনি বিবেকবর্জিত ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি তান্ডবে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২ হাজার ৯১৬ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজার ৪৯৪ জন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় পাঁচ মাস ধরে সেখানে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। গাজার বেশিরভাগ বাড়ি-ঘর, মসজিদ, হাসপাতালই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ফলে গাজা যেন এখন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এদিকে পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে দখলদার বাহিনী। বন্দিবিষয়ক কমিশন ও ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, আটকদের মধ্যে শিশু ও সাবেক বন্দিরাও রয়েছেন।