জেলার শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর জেসমিন নাহার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরশাদ আলী মিস্ত্রীকে (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের সদস্যরা। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর পলাতক ছিলেন।
মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) খুলনা জেলার দিঘুলিয়া থানাধীন বারাকপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আরশাদ আলী মিস্ত্রী সাতক্ষীরার আশাশুনির কল্যাণপুর গ্রামের মৃত আদম আলী মিস্ত্রীর ছেলে।
র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা কোম্পানি সদর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তাতে বলা হয়, মৃত্যুর ১১ বছর আগে আরশাদ আলীর সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক জেসমিন নাহারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০০২ সালের ২২ জুন যৌতুকের টাকা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আরশাদ আলীর বাকবিতণ্ডা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আরশাদ আলী ক্ষিপ্ত হয়ে চেরা কাঠ দিয়ে তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করলে জেসমিন নাহারের মাথায় আঘাত লাগে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় জেসমিনের বোন বাদী হয়ে আরশাদ আলীর বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে আরশাদ আলী পলাতক ছিলেন। এ মামলায় আদালত আসামি আরশাদ আলীর মৃত্যুদণ্ড দেন।
সম্প্রতি র্যাব র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আরশাদ আলী মিস্ত্রীর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এরপর মঙ্গলবার খুলনা জেলার দিঘুলিয়া থানাধীন বারাকপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।