গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলোর ধৈর্যেরও বাঁধ ভেঙে গেছে। উপত্যকায় ক্রমাগত বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা; এতে এটা পরিষ্কার যে, কীভাবে যুদ্ধ শেষ হবে বা পরবর্তী সময়ে কী করতে হবে– তা নিয়ে ইসরায়েলের কোনো দৃশ্যমান পরিকল্পনা নেই। আজ শনিবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
এতে বলা হয়, গাজায় ভয়ানক মানবিক সংকট সত্ত্বেও অব্যাহতভাবে হামাসকে তাড়া করা বৈশ্বিক পর্যায়ে ইসরায়েলকে একঘরে করে দিয়েছে। ইসরায়েলের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার সব দিক থেকেই চাপের মুখে রয়েছে। বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েল যা করেছে, তা গণহত্যা বলে গণ্য হতে পারে। ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোও এখন নেতানিয়াহু সরকারের সমালোচনা করছে। ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ না করতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ওপর চাপ বাড়ছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার ছয় মাসে ১৯৬ জন ত্রাণকর্মী নিহত হন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েলের কাছ জানতে চান, তাদের কেন হত্যা করা হয়েছে। অবরুদ্ধ উপত্যকার পরিস্থিতি একেবারেই খারাপ। তার প্রত্যাশা, ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেবে না।
গত সপ্তাহে তিনটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে বিদেশি সাত কর্মীকে হত্যা করে ইসরায়েল। নিহতদের মধ্যে তিনজন ব্রিটিশ, একজন পোলিস, একজন অস্ট্রেলীয়, একজন মার্কিনি ও একজন ফিলিস্তিনি রয়েছেন। এ ঘটনা বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় তোলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফোন করে নেতানিয়াহুকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেন।
আজ শনিবার একদিনে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৫ জন। ছয় মাসে মোট ৩৩ হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ। এ অবস্থায় একটি যুদ্ধবিরতির দিকে রয়েছে পুরো বিশ্ব। হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে আজ রোববার মিসরের কায়রোতে তারা একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে।