ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা কিন্তু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ ও যাত্রী না থাকায় অলস সময় অতিবাহিত করছে পাটুরিয়া ঘাটের ফেরিগুলো। অপরদিকে মহাসড়কেও নেই তেমন যানবাহন।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের সর্বশেষ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি ঘাট কর্তৃপক্ষ। ভোর রাত পর্যন্ত বেশ কিছু দূরপাল্লার যানবাহন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পার হয়েছে এবং লোকাল যানবাহনের যাত্রীও ফেরি ও লঞ্চে পারাপার হয়েছে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০টির মতো দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া লোকাল যাত্রী বহনকারী তেমন কোনো কাটাগাড়িও দেখা যায়নি। ঘাট ও মহাসড়ক এলাকা দেখে মনে হচ্ছে এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি নেই রয়েছে স্বস্তি। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট এই দুটি নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে ২২টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের কাজে নিয়োজিত ছিল। পাশাপাশি এ দুটি ঘাটে লোকাল যাত্রী পারাপারের জন্য ৩৩টি লঞ্চ ও বেশ কিছু স্পিডবোটের মাধ্যমে পদ্মা ও যমুনা নদী পার হয়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
লঞ্চ মালিক সমিতির ম্যানেজার পান্না লাল নন্দী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই এই ঘাটটি মরে গেছে। ঈদ এলে কিছু যাত্রীর দেখা মিলে তবে এবারের ঈদে তাও উল্লেখযোগ্য যাত্রী দেখা যায়নি। আজ সকাল থেকেই পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটে তেমন যাত্রী নেই তবে গতকাল কিছু যাত্রী ছিল। দুপুরের পর আবার কিছু যাত্রী হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টের বাণিজ্য বিভাগের এজিএম আব্দুস সালাম বলেন, ঈদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষকে নিরাপদে নির্বিঘ্নে পদ্মা নদী পার করতে পেরেছি। এমনিতেই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে এই ঘাটে যানবাহনের সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন পারাপারের জন্য ছোট বড় মিলিয়ে ২২টি ফেরি নিয়োজিত রয়েছে।
গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, সকাল থেকেই মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহনসহ কাটাগাড়ি তেমন নেই তবে দুপুরের পর আবার কিছুটা বাড়তেও পারে।