মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়ায় উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির জাতীয় মসজিদ নেগারাতে গুরুত্বপূর্ণ ঈদ জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।
সূর্য ওঠার আগেই মসজিদ নেগারায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সেখানে নামাজ পড়তে আসা মালয়েশিয়ানদের পাশাপাশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও ছিলেন। মালয়েশিয়ান ছেলেরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ‘বাজু মালায়ু’ পরে সালাত আদায় করতে আসেন। সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় মসজিদ নেগারায় শুরু হয় নামাজ।
১৭তম ইয়াং দি-পার্টুয়ান আগাং শপথ নেওয়ার পর এই প্রথম ইস্তানা নেগারায় ঈদে নামাজ আদায় করেন। জাতীয় মসজিদ নেগারার গ্র্যান্ড ইমাম এহসান মোহাম্মদ হোসনির নেতৃত্বে বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিয়ে মসজিদ নেগারায় নামাজ আদায় করেন।
সকাল ৮টা ২৩ মিনিটে ইয়াং দি-পার্টুয়ান আগাং, সুলতান ইব্রাহিম, রাজা জারিথ সোফিয়া প্রধানমন্ত্রী, দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং প্রাসাদের কর্মকর্তাসহ ইস্তানা নেগারা উতামা সুরাউ-তে এক সঙ্গে রাজ প্রাসাদের ইস্তানা নামাজ আদায় করেন।
‘বিজয়ের সত্য’ শিরোনামের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে দেশকে সামগ্রিকভাবে গড়ে তোলার জন্য মুসলিমদেরকে পারস্পরিক ভালোবাসা ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতা এবং দৃঢ় ঐক্যে বসবাস করার আহ্বান জানানো হয়। ঈদের নামাজ শেষে দেশ, জাতি এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ শেষে সুলতান ইব্রাহিম, রাজা জারিথ সোফিয়া এবং প্রধানমন্ত্রী, দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এছাড়া বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মোবাইল ফোনে দেশের প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রবাসীরা।
এদিকে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. শামীম আহসান প্রবাসী বাংলাদেশিদের ও মালয়েশিয়ান নাগরিকসহ সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি দেশে অবস্থিত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদেরও শুভেচ্ছা জানান।