১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘ঈদুল ফিতর’ উদযাপনের দিন। ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের অনুপম দিন। ঈদুল ফিতরের অন্যতম দিক হলো ফিতরা প্রদান। সমাজের গরিব দুঃখী মানুষ, যারা অর্থসংকটের কারণে ঈদ সঠিকভাবে উদযাপন করতে পারেন না, ফিতরার অর্থ দিয়ে তাদের সাহায্য করলে তারা ঈদের আনন্দ সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারেন। আমরা আশা করব, আমাদের মাঝে যারা সামর্থ্যবান আছেন, তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ ফিতরা প্রদান করে দুঃখী মানুষদের মুখে ঈদের হাসি ফুটাতে ভূমিকা রাখবেন।
রমজানের শিক্ষা হলো মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, দেশের প্রতি ভালোবাসাসহ যে গুণাবলি মানুষের মধ্যে থাকে সে গুণাবলির পরিপূর্ণ পরিস্ফুটন করা। আমরা মানুষে, মানুষে যে ভেদাভেদ করি, মানুষ মানুষকে যেভাবে ধোঁকা দেয়, রমজান মাস আমাদেরকে এসব মন্দ কাজ পরিহার করে সুন্দর, সুষ্ঠু জীবনযাপনে অনুপ্রাণিত করে।
ঈদুল ফিতর আমাদেরকে শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। এই অনুষ্ঠানে আমাদের অন্যান্য ধর্মাবলম্বী (হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান) যে ভাই-বোনেরা যারা রয়েছেন তারাও অংশগ্রহণ করেন।
ব্যক্তিগত, পরিবারিক, সমাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধন পরিব্যাপ্তি লাভ করুক- এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা। ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক। ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের সকল মানুষের সুখ-শান্তি, কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি হোক- মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি। ঈদ মোবারক।