সদরঘাটে নিহত পাঁচজনের মধ্যে এক পরিবারের তিনজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

লাশ উদ্ধার
ফাইল ছবি

ঢাকার সদরঘাটে বাঁধা একটি লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের একমাত্র সন্তান রয়েছে। ঈদের দিন আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আশিক সাঈদ পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে দুর্ঘটনা সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস জানায়, সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। বেলা তিনটার কিছুক্ষণ আগে এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ পন্টুনে ঢোকানোর সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে লঞ্চে ওঠার জন্য অপেক্ষমান পাঁচজনকে আঘাত করে। এতে তারা পন্টুনে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।

universel cardiac hospital

গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে পুলিশ সুপার আশিক সাঈদ জানিয়েছেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তারা হলেন, মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা।

সদরঘাটে দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যুর খবর শুনে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে এসেছেন মুক্তার ভগ্নিপতি জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, বেলাল গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সেখানে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়।

ঈদের দিন লঞ্চে করে বাড়ি যেতে বেলাল স্ত্রী–সন্তানকে নিয়ে সদরঘাটে এসেছিলেন বলে জানান জহিরুল। তিনি বলেন, বেলালের বাবা–মা বেঁচে নেই। স্ত্রী–সন্তানসহ তার মৃত্যুতে ওই পরিবারে আর কেউ রইল না। নিহত অপর দুজন হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের তরুণ রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।

পুলিশ সুপার আশিক সাঈদ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যাত্রীদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

শেয়ার করুন