হজ ব্যবস্থাপনায় সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি ও হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি এ দুটি কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
২১ সদস্যের হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী। ২৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটির সভাপতি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী।
এর আগে ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল এ দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গত ১১ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠন করা হয়। আগের সরকারের গঠন করা সেই দুটি কমিটি বাতিল করে এখন নতুন করে গঠন করা হলো।
জাতীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন-বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, জননিরাপত্তা সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন সচিব, ধর্ম সচিব, স্বাস্থ্যসেবা সচিব, সুরক্ষা সেবা সচিব, অর্থ সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, হজ পরিচালক, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের প্রধান কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন।
হজ ব্যবস্থাপনায় সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবে।
কমিটি প্রয়োজনে যে কোনো সময় সভা আহ্বান করতে পারবে। সভাপতি কমিটির সব সভায় সভাপতিত্ব করবেন, তবে প্রয়োজনে তার মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করতে পারবেন। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত (কো-অপ্ট) করতে পারবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সচিবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা রয়েছেন।
নির্বাহী কমিটি সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, হজ প্যাকেজ অনুমোদন, জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো কাজ করতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এতে আর বলা হয়, নির্বাহী কমিটি প্রয়োজনে যে কোনো সময় সভা আহ্বান করতে পারবে। সভাপতি কমিটির সব সভায় সভাপতিত্ব করবেন, তবে প্রয়োজনে তার মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করতে পারবেন। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত (কো-অপ্ট) করতে পারবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে সাচিবিক দেবে।