মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের রাজধানী বাঙ্গুইতে নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। নিহত ব্যক্তিরা একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য নৌকায় করে যাওয়ার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে বেসামরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান থমাস দিজিমাসে নিশ্চিত করেছেন।
রেডিও গুইরাকে থমাস দিজিমাসে বলেন, আমরা ৫৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তবে পানির নিচে আরও কতজন রয়েছেন সে সংখ্যা আমরা এখনও নিশ্চিত নই।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কিছু ভিডিও থেকে জানা গেছে যে, ওই কাঠের নৌকায় তিন শতাধিক যাত্রী ছিল। নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সময় অনেকেই নৌকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আবার কেউ কেউ কাঠের কাঠামোর ওপর বসে ছিলেন। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে এটি মোকো নদীতে ডুবে গেছে বলে জানা যায়।
একজন গ্রাম্য প্রধানের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মাকোলো গ্রামের দিকে যাত্রা করেছিল ওই কাঠের নৌকাটি। বাঙ্গুই থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে মাকোলো গ্রামের অবস্থান।
নৌকাটি ডুবে যাওয়ার প্রায় ৪০ মিনিট পর সেখানে উদ্ধারকারী সদস্যরা উপস্থিত হয়। ওই নৌকায় জায়গা পাননি মরিস কাপেনিয়া। তিনি অন্য একটি নৌকায় করে ওই নৌকাটিকে অনুসরণ করছিলেন। মরিস কাপেনিয়া বলেন, তার বোনও ওই নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
এদিকে ফ্রান্সিস মাকা নামের এক চালক জানান, ওই দুর্ঘটনার পর তিনি ১০ জনের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে কমিউনিটি হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন।
সেন্ট্রাল আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রকে বিশ্বের দ্বিতীয় স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে জাতিসংঘ। ২০১৩ সালে সেলেকা নামক একটি মুসলিম-অধ্যুষিত সশস্ত্র জোট প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া বোজিজেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দেশটি গৃহযুদ্ধে জর্জরিত।
২০১৮ সাল থেকেই সংঘাতের তীব্রতা কমেছে। তবে দেশটিতে এখনও বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা তৎপর রয়েছে। ফলে দেশটির হীরা, সোনার মতো মূল্যবান সম্পদগুলো লুট করা হচ্ছে। এছাড়া দেশটির কিছু এলাকা এখনো সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়ে গেছে।