সাম্প্রতিককালে ইউরোপে গরমের তীব্রতা বেড়েছে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে বা মানবদেহ এই তাপমাত্রার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে পারছে না। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। সোমবার ইউরোপের কোপারনিকাস জলবায়ু মনিটরিং সার্ভিস ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থা দুইটি গত বছরের তীব্র তাপপ্রবাহের বিষয় নিয়ে ইউরোপের জলবায়ুর ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের জুলাইতে দক্ষিণ ইউরোপের বিভিন্ন মাত্রার তাপপ্রবাহের বিষয়ও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মূলত যারা বাইরে কাজ করে, বয়স্ক ও যাদের হৃদরোগজনিস সমস্যা ও ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের এ ধরনের অতিরিক্ত গরমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি।
গত জুলাইতে ইতালির কিছু অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে সাত শতাংশ বেশি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়। সে সময় ৪৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি রোড মার্কিং করার সময় অজ্ঞান হন ও মারা যান।
২০২৩ সালে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ও গ্রিসের কিছু অংশ দশ দিন পর্যন্ত চরম তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়। সে সময় ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা অনভূত হয়। এমন পরিস্থিতিতে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩০ বছরে তাপপ্রবাহজনিত সমস্যার কারণে ইউরোপে মৃত্যু প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
ইইউ’র পরিবেশ সংস্থা গত মাসে সরকারগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রস্তুত ও বাইরে কাজ করে এমন কর্মীদের চরম তাপ থেকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।
ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল গত বছর। ইউরোপ হলো বিশ্বের দ্রুততম উষ্ণতার মহাদেশ।
এই তীব্র তাপপ্রবাহের অন্যতম কারণ হলো গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন। তাছাড়া আবহাওয়ার প্রাকৃতিক ইভেন্ট এল নিনোও এক্ষেত্রে অবদান রেখেছে।
সূত্র : রয়টার্স