গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৩৪১৮৩

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ১৮৩ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া গত ৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে আরও ৭৭ হাজার ১৪৩ জন আহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

গাজায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সেখানে সাড়ে ৯ হাজার নারী এবং এবং ১৪ হাজার ৫০০ শিশু প্রাণ হারিয়েছে।

তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, সেখানে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে কারণ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষের মরদেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে।

এর আগে গাজার খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েক মাস অভিযান চালানোর পর সম্প্রতি সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। ওই গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। মাসের পর মাস ধরে সেখানে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।

সম্প্রতি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, আমেরিকাসহ পুরো পশ্চিমা বিশ্ব সমরাস্ত্র সরবরাহ করার মাধ্যমে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ভয়াবহ গণহত্যা থেকে লাভবান হচ্ছে। তিনি রাশিয়ার একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন।

সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘাতে ওয়াশিংটনের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন আসাদ। তিনি বলেন, আমরা যখন বলি আমেরিকা তখন আমরা পুরো পশ্চিমা বিশ্বকে বোঝাই। কারণ, পশ্চিমা বিশ্বকে আমেরিকাই নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, বিশ্বের যেকোনো সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসিদ্ধি হচ্ছে। প্রথমে সে সংঘাত বাধিয়ে দিয়ে দূরে সরে দাঁড়ায় এবং এরপর মোক্ষম সুযোগে চূড়ান্ত আঘাত হেনে নিজের অবৈধ স্বার্থ হাসিল করে।

এদিকে সোমবার ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান আহারোন হালিভা। গত ৭ অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের শীর্ষ কোনো কর্মকর্তা পদত্যাগ করলেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হালিভার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন সামরিক প্রধান এবং এই সংস্থায় তার অবদানের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

গত অক্টোবরে হামাসের হামলা প্রতিহত করতে না পারার দায় স্বীকার করেছিলেন হালিভা। সে সময় হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়। এছাড়া আরও কয়েকশ মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করা হয়।

শেয়ার করুন