দেশজুড়ে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। এতে চলতি বছর স্বাভাবিক সময়ের আগেই সাপের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা আছে। জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সাপের দংশনে মানুষের মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব।
সাপ ও অন্যান্য বন্য প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসনে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের (এসআরটিবিডি) সহযোগিতায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দারুস সালাম অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রচারণা অনুষ্ঠানে এ কথা বলা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে এ অনুষ্ঠানে ডিএমপির শাহ আলী ও দারুস সালাম থানা এবং এর অন্তর্গত পুলিশ ফাঁড়ির কমকর্তারা ও মিরপুরের বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। ডিএমপির দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মফিজুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
সাপ উদ্ধার ও উপযুক্ত পরিবেশে অবমুক্ত করার সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, বেশ কিছু প্রজাতির সাপের প্রজনন মৌসুম ঘনিয়ে এসেছে। গরমে আরামদায়ক পরিবেশের সন্ধানে সাপ জলাজঙ্গল ছেড়ে ফাঁকা ঘরবাড়ি ও বাসগৃহসংলগ্ন ছায়াযুক্ত পরিবেশে চলে আসছে। এতে সাপে কাটা ও মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
স্বেচ্ছাসেবী মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, সাপে কাটার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে তার শরীরে ‘অ্যান্টিভেনম’ প্রয়োগ করার মাধ্যমে মৃত্যুহার বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
স্বেচ্ছাসেবী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১০৫ প্রজাতির সাপ রয়েছে। এর মধ্যে সচরাচর দেখতে পাওয়া যায়, এমন বিষধর সাপের সংখ্যা ১০–এর মতো।
সম্প্রতি রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ উদ্ধারের ঘটনা উল্লেখ করে স্বেচ্ছাসেবী সাদ আহমেদ বলেন, এই সাপকে অনেকে অজগরের বাচ্চা ভেবে অসতর্ক থাকেন। এ কারণেও আক্রান্ত হন এবং মানুষের মৃত্যু হয়।