ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম দফায় শতাধিক আসনে ভোটগ্রহণ হলেও দ্বিতীয় দফায় হচ্ছে ৮৮টি আসনে।
অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় ভারতজুড়ে ১৩ রাজ্যের ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোটে একাধিক ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। নিঃসন্দেহে এর মধ্যে প্রথম নাম রাহুল গান্ধীর। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই নেতা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের ওয়ানাড থেকে প্রার্থী হয়েছেন।
এই আসনে তার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে কে সুরেন্দ্রনকে। অন্যদিকে সিপিআইয়ের অ্যানি রাজাও রয়েছেন তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। জোরদার লড়াই হতে পারে এবার কেরালার এই আসনে।
ওয়ানাডের পরই রয়েছে তিরুবনন্তপুরম আসনটি। এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী শশী থারুর। বিজেপির রাজীব চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জোর লড়াই এবার। রয়েছে উত্তর প্রদেশের মথুরা, মেরুট। মেরুটে এবার বিজেপি প্রার্থী করেছে ‘রাম’কে।
রামায়ণ ধারাবাহিকের অতি জনপ্রিয় মুখ অরুণ গোভিলকে এবার ভোটের ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি। মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সপার সুনীতা বর্মা ও বসপার দেবব্রত কুমার ত্যাগী।
মেরুট থেকে নজর মথুরার দিকে গেলেই সেখানে বিজেপির তারকা প্রার্থী হেমা মালিনী। এই আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি। বসপার সুরেশ সিং ও কংগ্রেসের মুকেশ ধনগর তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বি। রাজস্থানের দুই আসনেও ভোট দ্বিতীয় দফায়। কোটা ও ঝালাওয়াড়। কোটায় প্রার্থী ওম বিড়লা। ঝালাওয়াড়ে প্রার্থী বসুন্ধরা রাজের ছেলে দুষ্মন্ত সিং।
পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে এদিন নির্বাচন। আসন তিনটি হচ্ছে- দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জ। পাহাড়ে বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে কি না সেটাই দেখার। এবারও রাজু বিস্তাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে বালুরঘাট আসনও ‘হেভিওয়েট’। এ আসনটি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আসন।
এর আগে, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় গত ১৯ এপ্রিল। সেই পর্বে মোট ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ১০২ টি কেন্দ্রে লড়াই হয়। প্রথম দফায় মোট ভোটার ছিল ১৬ দশমিক ৬৩ কোটি।
এছাড়া প্রথম দফায় দেশটির তামিলনাড়ুর ৩৯টি, রাজস্থানের ১২ টি, উত্তর প্রদেশের ৮ টি, মধ্যপ্রদেশের ৬টি, উত্তরাখণ্ডের ৫টি, মহারাষ্ট্রের ৫টি, আসামের ৫টি, বিহারের ৪টি, পশ্চিমবঙ্গের ৩ টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়।
এর পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর ও মেঘালয়ে দুই করে আসনে, ছত্রিশগড়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ, পদুচেরি ও জম্মু-কাশ্মিরের একটি করে আসনে প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হয়।