এদেশের স্বাধীনতা যারা মেনে নিতে পারেনি বঙ্গবন্ধুকে তারাই হত্যা করেছে: গণপূর্তমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীর পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল অত্যন্ত অমায়িক, ভদ্র, মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন স্মার্ট মিলিটারি অফিসার ছিলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের নির্মমতা সহজেই অনুমেয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কর্তৃক শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তরুণ প্রজন্মকে শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার মতো জীবন গঠনের আহ্বান তিনি বলেন, মাত্র ১৭ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন শেখ জামাল। মাতৃভূমির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল বলেই তিনি এটি করতে পেরেছিলেন। তাঁর মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্ম আগামীতে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক মোঃ জাফর ওয়াজেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে যারা জড়িত ছিলো তাদের বেশিরভাগই পাকিন্তান আর্মি ফেরত। যদিও এদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো, তথাপি তারা পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখার বিষয়।

আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর দেশরক্ষার জন্য গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ছিলো আরো একটি যুদ্ধ। এ যুদ্ধে দেশে গনতন্ত্র ও আইনের শাসন সমুন্নত হয়েছে, এ যুদ্ধে যুবলীগ সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের তুলনায় অনেক ছোট ছিলো। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুন। অথচ এই জাতিকে তারা শোষন ও নির্যাতন করে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিলো। এজন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো। একটি পৃথন কমিশন গঠন করে এ হত্যাকান্ডের পিছনে জিয়ার ভূমিকা উন্মোচন ও তার মরণোত্তর বিচারের দাবী জানান শেখ ফজলে শামস পরশ।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন