ঢাকায় ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ের পক্ষে সংহতি সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজায় ইসরায়েলি হামলা। ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা, ধর্ষণ ও দখলদারত্বের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় ‘নারী ও শিশু সংহতি সমাবেশ’ করেছে ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি, বাংলাদেশ। শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের বন্ধুরা (মানুষ) প্রাণপণ লড়াই করছেন। সে লড়াই বিচ্ছিন্ন কোনো লড়াই নয়। সে লড়াই আমাদেরও লড়াই। এ লড়াই সারা পৃথিবীর মানুষের লড়াই।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ফিলিস্তিন সংহতি কমিটির আহ্বায়ক। সংহতি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তা সামান্য নয়। ফিলিস্তিনের শিশু, নারীর যে আর্তনাদ, কান্না; তা সারা বিশ্বের বিপন্ন আর্তমানুষের কান্না, চিৎকার। ফিলিস্তিন হচ্ছে বিপন্ন, নিপীড়িত মানুষের বাসভূমি। ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যা করছে, তা মানবসভ্যতা ও মনুষ্যত্বকে ধ্বংস করার কাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

universel cardiac hospital

ফিলিস্তিনের মানুষের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিশ্বব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, হিটলার সারা পৃথিবীকে গ্রাস করতে চেয়েছিল। পরে হিটলার আত্মহত্যা করেছে। তারপর আশা করা হয়েছিল যে পৃথিবীতে হিটলার আর আসবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বড় হিটলার চলে গেছে, ছোট ছোট হিটলার পৃথিবীজুড়ে দেখা দিয়েছে। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থা হিটলারকে জন্ম দিয়েছিল, যা এখনো বিদ্যমান। সে জন্যই নতুন নতুন হিটলার আসছে। হিটলার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হলে ব্যক্তিমালিকানার জায়গায় সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

ফিলিস্তিনের বর্তমান চিত্র তুলে ধরতে সমাবেশ মঞ্চের কাছে রাখা হয় প্রতীকী লাশ ও রক্তাক্ত জামা। এ ছাড়া মঞ্চের পাশে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘স্টপ জেনোসাইড’ (গণহত্যা বন্ধ করো) এবং ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ (ফিলিস্তিন স্বাধীন করো)। সমাবেশ চলার ফাঁকে ফাঁকে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের সমর্থনে গান ও আবৃত্তি শোনান শিল্পীরা। তাদের কারও গলায়, কারও হাতে ঝুলছিল পোস্টার–প্ল্যাকার্ড। সেসব পোস্টারে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের দাবি তোলা হয়। সমাবেশ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মঞ্চের সামনে ছিল এক দল শিশু। তারা রং-তুলির আঁচড়ে ফিলিস্তিনের শিশুদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে।

শেয়ার করুন