- লড়াইটা যেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের নয়, ট্রাভিস হেড বনাম অভিষেকক শর্মার। রান তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার যেন একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন। কে কত দ্রুত রান তুলতে পারেন, কে কয়টা ছক্কা মারতে পারেন।
হায়দরাবাদের দুই বাঁহাতি ওপেনারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রীতিমতো চিড়ে–চ্যাপ্টা হয়েছেন লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বোলাররা। লক্ষ্ণৌর তোলা ৪ উইকেটে ১৬৫ রান হায়দরাবাদ টপকে গেছে পুরো ১০ উইকেট আর ১০.২ ওভার হাতে রেখে দিয়ে। এত বড় জয়ে হায়দরাবাদের প্লে–অফ খেলা চূড়ান্ত না হলেও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে বেশ কয়েকটি নতুন রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা এবং তাঁদের দল।
হায়দরাবাদের ৬২ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়টি আইপিএল ইতিহাসে বলের দিক থেকে (১০০+ রানের লক্ষ্যে) সবচেয়ে বড় জয়। পেছনে পড়ে গেছে ২০২২ সালে পাঞ্জাবের বিপক্ষে দিল্লির ৫৭ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ের কীর্তি।
মাত্র ৯.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১৬৭ রান আইপিএলে প্রথম ১০ ওভারে সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল হায়দরাবাদেরই ৪ উইকেটে ১৫৮, দিল্লির বিপক্ষে এ বছর। শুধু এ দুটি নয়, আইপিএলে প্রথম ১০ ওভারে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংসই হায়দরাবাদের, মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ১৪৮/২ (চলতি আসরেই)।
দলগতের পাশাপাশি ব্যক্তি ও জুটি পর্যায়েও হয়েছে একাধিক রেকর্ড। ট্রাভিস হেড ৩০ বলে ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ফিফটি ছুঁয়েছেন ১৬ বলে। ২০ বলের কমে এটি তাঁর তৃতীয় ফিফটি, সব কটিই এবারের আসরে। এই কীর্তি আছে শুধু তাঁর স্বদেশি ফ্রেজার–ম্যাগার্কের।
আবার হেড ফিফটি করেছেন পাওয়ার প্লের ভেতরে, পঞ্চম ওভারে। আইপিএলের এক আসরে পাওয়ার প্লের ভেতরে চারটি ফিফটি নেই আর কারোরই।
হেডের ইনিংসটিতে ছিল ৮টি করে চার ও ছয়।
তাঁর ওপেনিং সঙ্গী অভিষেক শর্মা অপরাজিত থাকেন ২৮ বলে ৭৫ রানে। যে ইনিংসে ৮ চারের সঙ্গে ছক্কা ৬টি। দুজনের জুটি দলকে বলের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয় তো এনে দিয়েছেই, এ পথে পাওয়ার প্লেতে তুলেছেন ১০৫ রান, যা আইপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ১২৫ রানও হায়দরাবাদেরই, দিল্লির বিপক্ষে।
লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে হায়দরাবাদের জয়টি এবারের আসরে তাদের সপ্তম। ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে হায়দরাবাদ এখন পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লক্ষ্ণৌ ষষ্ঠ স্থানে।
১০ দলের মধ্যে ৯ দলেরই এখনো প্লে–অফ খেলার সুযোগ আছে। হায়দরাবাদের জয়ের পর বাদ পড়ে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। হার্দিক পান্ডিয়ার দলের পয়েন্ট ১২ ম্যাচে ৮। শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও তাদের শেষ চারে থাকার সম্ভাবনা নেই।