যুগের পর যুগ ধরে জাতিসংঘের সদস্যপদ পেতে চেষ্টা-তদবির করে আসছে ফিলিস্তিন। বিশ্বের বড় বড় দেশ ও নেতাদের অনুরোধ করে আসছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। তবে এতো বছর পার হলেও শুধু জাতিসংঘের স্থায়ী পর্যবেক্ষকের মর্যাদা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দেশটিকে। বছরের পর বছর ধরে বৈশ্বিক সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদে আটকে আছে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন।
এমনকি গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনি আবেদনের পক্ষে অধিকাংশ দেশ ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের কারণে তা পাস হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা পরিষদ যেন ফিলিস্তিনি আবেদনের বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করে সে বিষয়ে আজ শুক্রবার ভোটের আয়োজন করা হয়েছে বৈশ্বিক সংস্থাটির সাধারণ পরিষদে। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিস্তিন যে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার যোগ্য তার স্বীকৃতি দিতে শুক্রবার সাধারণ পরিষদে ভোট হবে। এই ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনের পক্ষেই ভোট দেবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। একই সঙ্গে গত মাসে মার্কিন ভেটোর কারণে ফিলিস্তিনি সদস্যপদের আবেদন আটকে যাওয়ার বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানানো হবে।
২০১১ সালে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। সেই আবেদন এখনো পড়ে আছে। গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের আয়োজন করা হয়। সেখানে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘে পূণ সদস্যপদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় তা আর পাস হয়নি।
তবে পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন আবারও সচল করার চেষ্টা করছে ফিলিস্তিন। সাধারণ পরিষদে আজ এই প্রস্তাব পাস হলে কার্যকরভাবে তা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।