শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের জিততে লাগতো ১৪ রান। সাকিব আল হাসানের প্রথম বলে মাসাকাদজার ক্যাচ মিস করেন তানজিদ। পরের বলে মিস করলেও তৃতীয় বলে ছক্কা মারেন মুজারাবানি। একপর্যায়ে ৩ বলে ৭ রান লাগে জিততে। সেখান থেকে মুজারাবানিকে ফেরান সাকিব। এরপর এনগারাভাকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ৫ রানের জয় এনে দেন এই অলরাউন্ডার। ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ১৩৮ রানে গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে। এই জয়ে সিরিজে ৪–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
প্রায় এক বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরার ম্যাচে ৩৫ রানে সাকিবের শিকার ৪ উইকেট। তবে ছোট পুঁজির ম্যাচে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মুস্তাফিজুর রহমান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন জোনাথান ক্যাম্পবেল।
এর আগে তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ বড় স্কোরের আশা জাগায়। কিন্তু শতাধিক রানের জুটি ভাঙতেই ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইন। পরবর্তী ৪২ রানে আরও ৯ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ১৪৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১০ ওভারে ৯০ করার পর টাইগারদের ইনিংস থেমেছে ১৯.৫ ওভারে।
সিরিজে দ্বিতীয় ফিফটিতে ৩৭ বলে ৫২ রান করেন তানজিদ। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার করেন ৩৪ বলে ৪১ রান। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০১ রান। এরপর আর কেউই উইকেটে টিকতে পারেননি। তিন নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয় করেন ১২ রান। আর কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ২০ রানে ৩ উইকেট নেন লুক জঙ্গি। এছাড়া ব্রায়ান বেনেট ও রিচার্ড এনগারাভা নেন ২ উইকেট।