চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল রোববার (১২ মে) প্রকাশ করা হয়েছে। এতে যদি কোনো শিক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে থাকে, তবে সে উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারছেন।
সোমবার (১৩ মে) সকাল ৮টা থেকে এ আবেদন শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১৯ মে পর্যন্ত। এবার ফল পুনঃনিরীক্ষণে প্রতি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের প্রক্রিয়া জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, এসএমএসের মাধ্যমে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। টেলিটক প্রিপেইড নম্বর থেকে RSC <স্পেস> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে।
একই এসএমএসে একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।
ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেওয়া হবে। এতে সম্মত থাকলে RSC <স্পেস> YES <স্পেস> পিন নম্বর <স্পেস> যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে (যেকোনো) ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যেসব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে, সেসব বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করলে মোট ২৫০ টাকা ফি কাটা হবে।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সেই হিসাবে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৫৩ এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন। ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের চেয়ে এবার গড় পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ। তবে কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। সেই হিসাবে এবার ১ হাজার ৪৪৯ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ কম পেয়েছেন।