রাজধানীর গ্রিন রোডে অতিরিক্ত রিকশা আর অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে জ্যাম লেগেই থাকত। যার ফলে যাত্রীদেরকে ঘণ্টারও বেশি সময় রাস্তায় কাটাতে হতো। পুলিশের তৎপরতায় সড়কের চিরচেনা সেই চিত্র পাল্টে গেছে। ডিএমপির ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ অভিযান চালিয়ে সড়কটি রিকশামুক্ত করেছে।
তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহব্যাপী অভিযানে প্রায় ৬১টি রিকশার বিরুদ্ধে ডাম্পিংসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কেই রয়েছে পানি ভবন, আইবিএ হোস্টেল, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এবং একাধিক ভার্সিটি কোচিং সেন্টার। জনবহুল এই রাস্তায় এতদিন ছিল শতাধিক রিকশার পার্কিংয়ের পাশাপাশি একাধিক রিকশা মেরামতের দোকান।
প্রায় স্থায়ী হয়ে যাওয়া এই রিকশা লেনকে ঘিরে ফুটপাতে ছিল আবার একাধিক ভাতের হোটেল, এমনকি মানুষের ফুটপাতে হাঁটার অবস্থাও ছিল না।
সোমবার (১৩ মে) গ্রিন রোডে সরেজমিনে ভিন্ন এক চিত্র চোখে পড়েছে। সেখানে নেই পুরাতন কোনো রিকশার লেন কিংবা ফুটপাতের সেই চিত্র। সড়কের অবস্থার এই উন্নতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষরা।
তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের এই কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, তবে এটি যেন স্থায়ী হয় এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) স্নেহাশীষ দাস বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এই সড়ক রিকশা এবং অবৈধ পার্কিংমুক্ত রাখতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা প্রতিদিন সকাল-বিকেল রেকারসহ এই রাস্তায় দুইবেলা অভিযান পরিচালনা করছি। সড়ক অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ট্র্যাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমদ বলেন, প্রথমে আমরা মাইকিং করে রিকশা মেরামতের দোকান ও পার্কিং লেনের বিষয়ে সতর্ক করেছি। তারা ভেবেছে এতদিন ধরে চলে আসা এসব দোকানের বিরুদ্ধে হয়তো পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেবে না। পরে আমরা অ্যাকশনে যাই, অবৈধ রিকশা লেনে পার্কিং ও রিকশা মেরামতের দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্তমানে পুরো সড়ক দখলমুক্ত স্বাভাবিক রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রাফিক বিভাগের কাজ ড্রাইভওয়ে দখলমুক্ত রাখা, আর ফুটপাত বা ওয়াকওয়ে দখলমুক্ত রাখতে কাজ করবে ক্রাইম ডিভিশন। আমরা সড়কের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার সঙ্গে সঙ্গে ক্রাইম ডিভিশনকে ফুটপাতের দখলের বিষয়টি জানিয়েছি। তারাও ফুটপাতের অবৈধ উচ্ছেদে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।