আহমেদাবাদে গত রাতে একটা বলও মাঠে গড়ায়নি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচটায় গুজরাট টাইটান্সের দরকার ছিল বড় ব্যবধানের জয়। প্লে-অফের দৌড়ে অনেকটাই ছিটকে গিয়েছিল তারা। টিকে থাকার মিশনে বড় রানরেট হতে পারত ভরসার নাম। কিন্তু আহমেদাবাদে দুই দলের ম্যাচ শেষ হয়েছে ১ পয়েন্ট ভাগাভাগিতে।
১ পয়েন্ট পাওয়ায় টেবিলে শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত হয়েছে কলকাতার। যার অর্থ, প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলাও নিশ্চিত হলো তাদের। প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতলেই ফাইনালে উঠবে কলকাতা। হারলেও অবশ্য সুযোগ থাকবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের। তবে একইসঙ্গে বাদ পড়া নিশ্চিত হলো গুজরাটের।
আইপিএলের প্লে অফে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচটা জিততে হতো শুভমান গিলের দলকে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় তারা পেয়েছে ১ পয়েন্ট। ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে অষ্টম দলটি। টেবিলে শীর্ষ চার দলই ন্যূনতম ১৪ পয়েন্ট করে পেয়েছে। শেষ ম্যাচ জিতলেও তাই লাভ হচ্ছে না তাদের।
প্লে-অফের দৌড়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভাল অবস্থানে আছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১২ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলায় চেন্নাইয়ের থেকেও এগিয়ে থাকবে তারা। হায়দরাবাদের প্রথম চারে ওঠার সম্ভাবনা বেশি ৯৭ শতাংশ।
সম্ভাবনার বিচারে এরপরেই আছে চেন্নাই সুপার কিংস। মৌসুমের শেষদিকে খানিক ভুগতেই হচ্ছে দলকে। তবে এরপরে ১৩ ম্যাচে তারা পেয়েছে মোট ১৪ পয়েন্ট। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের প্রথম চারে শেষ করার সম্ভাবনা ৯১ শতাংশ। আরও দুই বা তিনটি দলের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করার সম্ভাবনাও রয়েছে তাদের। সে ক্ষেত্রে হিসাবে অনেকটা এগিয়ে থাকবে নেট রানরেটের কারণে।
দিল্লি ক্যাপিটালসের সংগ্রহ ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। দিল্লির প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা ৩১.৩ শতাংশ। তিন থেকে পাঁচটি দলের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করতে পারে তারা। সে ক্ষেত্রে দেখা হবে নেট রানরেট। আবার লখনৌর অর্জন ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলায় দিল্লির তুলনায় তাদেরই প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা বেশি (৫৬ শতাংশ)।
স্বপ্ন টিকে আছে মৌসুমে বাজে শুরু করা বেঙ্গালুরুরও। টানা ৫ ম্যাচ জিতে ভাল ছন্দে আছে তারা। গাণিতিক গণনা বলছে, শেষ ম্যাচ জিতলে বেঙ্গালুরুর প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে ৪০ শতাংশ। আরও পাঁচটি দলের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করারও সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। কোহলিদের নেট রানরেট অবশ্য বেশ ভাল। তাই কিছুটা নির্ভার থাকার সুযোগ থাকবে।