ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ

মত ও পথ ডেস্ক

ফারাক্কা দিবস
ফাইল ছবি

ভারতের গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগির চুক্তি সইয়ের দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও মিলছে না ন্যায্য হিস্যা। ওপারে ভারী বৃষ্টিপাত হলে কিছুদিন প্রবাহ ঠিক থাকলেও শুষ্ক মৌসুমের অধিকাংশ সময়ই বাংলাদেশের পদ্মায় থাকে খরা। খাঁ খাঁ করে আশপাশের জলাধার। পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি, মৃত্যু ঘণ্টা বেজেছে পাবনা অঞ্চলের সুতা নদী, কমলা, ইছামতীসহ অন্তত ১৭টি নদীর।

এমন পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ভারত নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের প্রতিবাদ এবং পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এমন প্রেক্ষাপটে ১৯৯৬ সালে ১২ ডিসেম্বর ভারতের গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগির নিয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়।

চুক্তির ২৮ বছরে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে, চাহিদা বেড়েছে পানির। এর পরও ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ায় দাবি উঠেছে চুক্তি পুনর্বিবেচনার। গতকাল বুধবার পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে নদী গবেষক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদীকে নদীর মতো করে বাঁচতে না দিলে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে গঙ্গার পানি চুক্তি পুনর্বিবেচনা করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেবে ভারত। কিন্তু গতকাল পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ২৯ হাজার ১৬৯ কিউসেক। আগের দিন ছিল ২৬ হাজার ৬৫৬ কিউসেক।

পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন জানান, ভারতের নদী কমিশনের প্রতিনিধিরা পদ্মার পানির প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছেন।

পরিবেশবিদ অধ্যাপক শাহনেওয়াজ সালাম বলেন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য বাঁচাতে গঙ্গার পানি চুক্তি পুনর্বিবেচনা হওয়া দরকার।

উত্তরাঞ্চলীয় পানি পরিমাপ বিভাগ ও পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘চুক্তির চেয়ে আমরা কম
পানি পাচ্ছি।’

শেয়ার করুন