ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’ই দিল্লিতে ক্ষমতায় আসবে- এই দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। আর সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে সেই সরকারকে সমর্থন জোগাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার (১৫ মে) হুগলির চুঁচুড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সমর্থনে এক নির্বাচনী প্রচারণা থেকে এই ঘোষণা দেন মমতা।
দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’ জোট সরকার গঠন করলে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে সে বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্ডিয়া জোটকে নেতৃত্ব দিয়ে, বাইরে থেকে সব ধরনের সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেবো, যাতে আমার মা-বোনদের কোনো অসুবিধা না হয়। ১০০ দিনের কাজে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।
তবে পশ্চিমবঙ্গে কোন ধরনের ইন্ডিয়া জোট নেই সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমকে ধরবেন না। কারণ ওরা আমাদের সঙ্গে জোটে নেই। ওরা বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। ওরা বিজেপিকে সাহায্য করে।
এদিনের নির্বাচনী সভায় মমতার ‘জোটের বাইরে থেকে সমর্থন’ নিয়েই রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অতীতে সিপিআইএমসহ বাম দলগুলোকে এধরনের ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল।
১৯৮৮ সালে কেন্দ্রে যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গঠন করে, তখন বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিলেন মমতা। যদিও এরপরে বিভিন্ন সময় কখনো বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায়, আবার কখনো মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস।
সেক্ষেত্রে, ২০০৪ সালে কেন্দ্রে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-১ সরকারে যোগ না দিয়ে বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিল বামফ্রন্ট। যদিও সেই সরকারের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিল বামেরা।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মোট সাত দফায় দেশটির ৫৪৩টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। প্রথম চার দফার ভোটে এরই মধ্যে ৩৭৯ আসনের ভোট সম্পন্ন হয়েছে।
পঞ্চম দফায় ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জুন। ভোটগণনা আগামী ৪ জুন।