রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মোহাম্মদপুর মোড় ঘিরে যানবাহনের জটলার চিত্র নৈমিত্তিক। রিকশা থেকে শুরু করে সব ধরনের যানবাহনের যাচ্ছেতাই চলাচলে পুরো এলাকার অবস্থা হয়ে উঠছিল অসহনীয়। তবে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক কিছু পরিকল্পনায় পাল্টে যাচ্ছে চিরচেনা যানজটের চিত্র। রিকশা চলাচলের আলাদা লেন তৈরি, যত্রতত্র পার্কিং বন্ধে গতি এসেছে পুরো বসিলা থেকে মোহাম্মদপুর হয়ে আসাদগেট সড়কে।
তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ জানায়, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দিক থেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ইন্টারসেকশন। আসাদগেট, ধানমন্ডি এবং বসিলাকে সংযোগকারী এই রাস্তার আশেপাশেই আছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন সমস্যার ফলে দীর্ঘদিন ধরেই যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মানুষকে। সম্প্রতি, তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক এই দুর্ভোগ লাঘবে নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যার ফলে পরিবর্তন এসেছে পুরো এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায়।
মোহাম্মদপুর ঘিরে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে-
১. মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সব গণপরিবহনের অস্থায়ী পার্কিং স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হয়েছে।
২. বসিলা থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ননস্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
৩. বাসস্ট্যান্ড থেকে বসিলা চার রাস্তার মোড় পর্যন্ত সব অবৈধ হকার উচ্ছেদ করে শতভাগ রাস্তা যানবাহন চলাচল উপযোগী করা হয়েছে।
৪. বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক বিআরটিসির বাস ডিপো থাকায় বিআরটিসির বাস দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় অপেক্ষা করার সুযোগ না দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয় করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
৫. মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক নতুন সার্কুলেশন প্ল্যান বাস্তবায়ন।
ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমদ জানান, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন ট্রাফিক পরিকল্পনা অনুযায়ী গত কিছুদিন ধরেই অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাফিক-মোহাম্মদপুর জোন। এর ফলে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগ নতুন পরিকল্পনার আনুষ্ঠানিক বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর থেকে বসিলা সড়কে রিকশার চলাচল শৃঙ্খলায় আনতে পৃথক লেন চালু করা হয়েছে। এ সড়কটিতে যত্রতত্র পার্কিং ও হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে। সড়কে যত্রতত্র যাত্রী উঠানো বন্ধ করে ননস্টপ গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করতে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ। এর ফলে সড়কে গতি এসেছে এবং এ সড়কে চলাচলরত নাগরিকরা এ বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ট্রাফিক পুলিশের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।