বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কীভাবে জানলেন, সে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু যে কথা বলেছেন, এরপরে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সামনে রেখে এই এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তিন দিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকা ছেড়েছেন। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ঢাকার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে ‘অনেক টেনশন’ তৈরি হয়েছিল উল্লেখ করে ডোনাল্ড লু বলেছেন, এসব সরিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সামনে তাকাতে চায়, পেছনে নয়।
তারপর বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, নির্বাচন ও মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগের অবস্থানেই আছে। তার এ বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আজকের অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা যে প্রশ্ন করেছেন, তা আমাকে না করে মির্জা ফখরুলকে করুন। তিনি কীভাবে জানলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এখনো আগের জায়গায়? সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বক্তব্য কি ফখরুল সাহেব শোনেননি? ফখরুলের প্রশ্নের জবাব ডোনাল্ড লু তাঁর বক্তব্যে পরিষ্কার করেছেন। এটা আর বলার দরকার নেই। মন্তব্য করারও প্রয়োজন নেই। তিনি (ডোনাল্ড লু) যে কথা বলেছেন, এরপরে ফখরুল সাহেবের যে বক্তব্য, তার কোনো মূল্য নেই।’
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানে দেশে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। তিনি এসেছিলেন বলে আমরা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ‘বদলে গেছে’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উন্নয়নে, অর্জনে, আধুনিকতায় বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে বদলে গেছে। গ্রাম হয়েছে শহর। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন শেখ হাসিনাই করেছেন। এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের ও কর্মীদের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছে।