জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান (১৭) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মেহেদী চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে। সে তার পরিবারের সঙ্গে ভাটারা এলাকায় বসবাস করত। মেহেদীর মা লিপি সিকদার ঢাকার উত্তর সিটির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মেহেদীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। মেহেদীর মামা ও ঢাকার উত্তর সিটির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক চয়ন সিকদার বলেন, গতকাল স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কর্মসূচিতে তিনি ও তার ভাগনে অংশ নিয়েছিলেন। কর্মসূচি শেষে ধানমন্ডি থেকে সংসদ ভবনের সামনের সড়ক দিয়ে হেঁটে তারা ফার্মগেটের দিকে আসছিলেন।
অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অন্যরা গাড়িতে করে ফার্মগেটে আসছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার জন্য তারা গাড়ি থামাতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা গাড়ি থামাতে রাজি হচ্ছিলেন না। তখন তাদের একজন গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের বেয়াদব বলেন।
চয়ন সিকদার বলেন, বেয়াদব শব্দ শোনার পর গাড়িতে থাকা ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে আসেন। তখন দুই পক্ষে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে দুই যুবক একজনকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে তার ভাগনে মেহেদী হাসানের বুকে ছুরিকাঘাত করে দুই যুবক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভাগনে খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান চয়ন সিকদার। খুনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বলেন, তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি শেষে বাসায় ফেরার পথে কেউ খুন হয়েছেন কি না, সে তথ্য তিনি জানেন না। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচি শেষে দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়। কী নিয়ে গন্ডগোল, সেটি জানা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তখন মেহেদী হাসানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।