বিমান দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জানিয়েছেন, ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
ইরানের সংবিধানে বলা আছে, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বা কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে এবং নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবারকে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, মোখবার নির্বাহী শাখার নেতৃত্বের দায়িত্বে রয়েছেন।
এক বিবৃতিতে খামেনি বলেন, মোখবারকে সর্বোচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য আইন ও বিচার বিভাগের প্রধানদের সাথে কাজ করতে হবে।
২০২১ সালের আগস্টে ইরানের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি।
এরপর খামেনির অনুমতি নিয়ে মোহাম্মদ মোখবারকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তার আগে মোহাম্মদ মোখবার ইরানের খুজেস্তান প্রদেশের গভর্নর এবং ইরানের সিতাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এটা ইরানের অন্যতম শক্তিশালী একটি অর্থনৈতিক কনগ্লোমারেট (একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অধীন থাকা বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী)।
এদিকে হোসেইন আমিরআবদুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর পর ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাঘেরি কানিকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
কানি ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন।