ফিলিস্তিনকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চলেছে ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। বুধবারই (২২ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দিতে পারে আইরিশ সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কিছুদিন ধরেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য আয়ারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভেনিয়া এবং মাল্টা। সমন্বিতভাবে এই ঘোষণা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। দেশগুলোর মতে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য।
১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩৯ সদস্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে।
আইরিশ সরকার বলেছে, তাদের এই স্বীকৃতি শান্তিপ্রচেষ্টার পরিপূরক এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করবে।
তবে ইউরোপীয় দেশগুলোর এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করছে ইসরায়েল। গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এই স্বীকৃতি ‘সন্ত্রাসবাদ আরও বাড়িয়ে দেবে, অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে এবং শান্তির জন্য যেকোনো সম্ভাবনাকে বিপণ্ন করবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইরিশ সরকার জানিয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে কী বিষয়ে কথা বলবেন, তা জানানো হয়নি।
এর আগে, চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছিল স্পেন।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন আদায়ের জন্য সম্প্রতি কূটনৈতিক প্রচারণা শুরু করেছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী। গত এপ্রিলে নরওয়েজিয়ান প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোরের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে আলোচনাও করেন তিনি।
বৈঠক শেষে সানচেজ জানিয়েছিলেন, ইইউর সদস্য দেশগুলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে তাদের মধ্যে ‘স্পষ্ট ইঙ্গিত’ রয়েছে।
বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, রোমানিয়া, সুইডেনসহ- নয়টি ইইউ সদস্য রাষ্ট্র এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বেলজিয়ামও নিশ্চিত করেছে, পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিকে সমর্থন দিতে তারা প্রস্তুত।
এর আগে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াও।