হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও অন্যান্য সফরসঙ্গীরা চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আজ। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে দাফন করা হবে ইব্রাহিম রাইসিকে। এ শহরেই ইমাম রেজা (আ.)-এর মাজার অবস্থিত।
ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের বিরজান্দ শহরে প্রেসিডেন্ট রাইসির শেষকৃত্য অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার ও বুধবার তাবরিজ, কোম ও তেহরানে কয়েক দফায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় নিহতদের। এতে অংশ নেন লাখ লাখ মানুষ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ইব্রাহিম রাইসির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের বিরজান্দ বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এর আগে থেকেই জানাজাস্থলে হাজির হতে থাকেন হাজার হাজার মানুষ।
বিরজান্দের আজকের জানাজায় সিস্তান ও বেলুচেস্তান, সেমনান এবং ইয়াজদের মতো প্রদেশের মানুষও উপস্থিত রয়েছেন। এতে অংশ নিচ্ছেন ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি।
গত ১৯ মে আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি ও তার সহযাত্রীরা। পথিমধ্যে পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি।
সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় ইরানি প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানী দল। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, সেখানে প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই। পুরো হেলিকপ্টার ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম, প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি। প্রাণ হারিয়েছেন হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলটও।
নিহতদের সম্মানে পাঁচদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।