জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ডয়চে ভেলের একটি তথ্যচিত্রের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) পরিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ডয়চে ভেলে প্রচারিত ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসেবে নির্যাতনকারীদের মোতায়েন’ শীর্ষক তথ্যচিত্রে সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। শান্তিরক্ষী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের কঠোর নির্বাচন এবং যাচাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। এই প্রক্রিয়ায় সবসময় সবচেয়ে যোগ্য এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা সেনাসদস্যদের মোতায়েন নিশ্চিত করা হয়। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষী নির্বাচনে উচ্চমানের আচরণবিধি এবং পেশাগত দক্ষতার দায়বদ্ধতা প্রমাণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তথ্যচিত্রে উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোনো মন্তব্য নেয়নি ডয়চে ভেলে। পক্ষপাতমূলক ও একপেশে এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ। তথ্যচিত্রে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে অপর একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মানহানি করাই এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে প্রতীয়মান। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি পক্ষপাতদুষ্ট অভিপ্রায়, যা তথ্যচিত্রটির বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করেছে।
আইএসপিআর জানায়, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩১ জন বীরসেনা প্রাণ দিয়েছেন এবং ২৩৯ জন আহত হয়েছেন। জাতিসংঘের পতাকা সমুন্নত রাখার চেষ্টায় এটি একটি বিরল উদাহরণ। এ ছাড়াও গত তিন দশকে জাতিসংঘের অধীনে দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগমুক্ত, যা একটি দৃষ্টান্তমূলক অর্জন।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণমাধ্যমগুলোর ন্যায্য এবং ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিবেদনের নীতি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংবাদ প্রচার বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা বহুলাংশে ক্ষুণ্ন করবে।