আইপিএল মানেই যেন অর্থের ঝনঝনানি। ৪ দশমিক ৮ কোটি রুপির চ্যাম্পিয়ন প্রাইজামানিতে শুরু হয়েছিল এই আসর। সেখান থেকে প্রতিবছর বেড়েছে টাকার অঙ্ক। ১৭তম আসর শেষে শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানি হয়েছে ২০ কোটি রুপি। চ্যাম্পিয়ন দল কলকাতা নাইট রাইর্ডাস পেয়েছে এই অর্থমূল্যের পুরস্কার। রানার্সআপ হিসেবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ পেয়েছে ১২ কোটি ৫০ লাখ রুপি। স্বীকৃতি হিসেবে একটি শিল্ডও দেওয়া হয়েছে দলটিকে।
এছাড়া পিচ অ্যান্ড গ্রাউন্ড অ্যাওয়ার্ড হিসেবে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পেয়েছে ৫০ লাখ রুপি। আসরে সবচেয়ে বড় পুরস্কারের সবটাই গিয়েছে ফাইনালের এই দুই দলের কাছে। এমনকি ব্যক্তিগত পুরস্কারের ক্ষেত্রেও আধিক্য ছিল কলকাতা এবং হায়দরাবাদের।
১৭তম আইপিএলে এসে মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার হয়েছেন সুনীল নারিন। কলকাতার ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার তিনবার জিতলেন। একইসঙ্গে তিনি ফ্যান্টাসি ইলাভেন বেস্ট প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। দুই পুরস্কারের সুবাদে সুনীল নারিন পেয়েছেন মোট ২০ লাখ রুপি। এবারের আসরে ৪৮৮ রানের পাশাপাশি ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১২ সালে অভিষেক মৌসুমে ও ২০১৮ সালে নারিন এই স্বীকৃতি পান।
ফাইনালের মোড় ঘুরিয়েছেন আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় মিচেল স্টার্ক। পাওয়ারপ্লেতে তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে এলোমেলো হয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। নিয়েছেন অভিষেক শর্মা ও রাহুল ত্রিপাঠির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ফ্যান্টাসি প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হিসেবে ১ লাখ রুপি আর প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হিসেবে পেয়েছেন ৫ লাখ রুপি।
আরও পড়ুন >> হায়দরাবাদকে উড়িয়ে তৃতীয় শিরোপা জয় কলকাতার
ফাইনালে একপেশে এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পর আরও তিন ব্যক্তিগত পুরস্কার গিয়েছে তাদের ঝুলিতে। সবচেয়ে বেশি ডট বলের জন্য হার্ষিত রানা পেয়েছেন ১ লাখ রুপি। ফাইনালে সবচেয়ে বেশি চারের জন্য রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং সবচেয়ে বেশি ছক্কার জন্য ভেঙ্কটেশ আইয়ারও পেয়েছেন ১ লাখ রুপি।
৭৪১ রান করে টুর্নামেন্টের শীর্ষ রানসংগ্রাহক বিরাট কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটার এক সেঞ্চুরি ও পাঁচ হাফ সেঞ্চুরিতে রাঙিয়েছেন এবারের আসর। ১৫ ম্যাচ খেলে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৪.৬৯। অরেঞ্জ ক্যাপের পাশাপাশি তার ঝুলিতে গিয়েছে ১০ লাখ রুপি।
২৪ উইকেট নিয়ে পাঞ্জাব কিংসের বোলার হার্শাল প্যাটেল জিতেছেন পার্পল ক্যাপ। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পেলেন এই স্বীকৃতি তিনি। তাকেও দেয়া হয়েছে ১০ লাখ রুপি। আসরের সেরা ক্যাচের জন্য রামানদ্বীপ সিং, বেস্ট স্ট্রাইকরেটের জন্য দিল্লি ক্যাপিটালসের জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কও পেয়েছেন ১০ লাখ রুপির পুরস্কার।
এই মৌসুমে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং ট্রাভিস হেড। দুজনেই পেয়েছেন দশ লাখ রুপির চেক। ট্রাভিস হেড আসরে সবচেয়ে বেশি চার মেরেছিলেন। আর অভিষেকের ব্যাট থেকে এসেছিল সবচেয়ে বেশি ছয়ের মার।
এছাড়া ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড জিতেছে হায়দরাবাদ। দল হিসেবে তারা পেয়েছে ১০ লাখ রুপি। আর বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হয়েছেন তাদের ব্যাটার নিতিশ কুমার রেড্ডি। তাকেও ১০ লাখ রুপির পুরস্কার দেওয়া হয়।