পাকিস্তানের পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ২৬ ও ২৭ মে জঙ্গিদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত সাত পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন। এ সময় ২৩ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়।
২৬ মে শুরু হওয়া অভিযানে পেশোয়ার জেলার হাসান খেল এলাকায় ছয় জঙ্গিকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করে হত্যা করে এবং একাধিক গোপন আস্তানা ধ্বংস করে। এই সময় দুই সেনা সদস্য ক্যাপ্টেন হোসেন জাহাঙ্গীর এবং হাবিলদার শফিক উল্লাহ নিহত হন।
২৭ মে, ট্যাঙ্ক জেলায় পরিচালিত আরেকটি অভিযানে, পাকিস্তানি সেনারা ১০ জঙ্গিকে হত্যা করে। একই দিন খাইবার জেলার বাগ এলাকায়, সেনারা আরও সাত জঙ্গিকে হত্যা করে এবং দুই জঙ্গিকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে। এই সময় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ৫ সেনা সদস্য নিহত হয়।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলছে, এই জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। তবে জঙ্গিরা কোন গোষ্ঠীর সদস্য তা জানায়নি পাকিস্তান সেনাবাহিনী। খবর জিও নিউজ
আফগান সীমান্তে উপজাতীয় অঞ্চলগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থী ও সাম্প্রদায়িক জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। ইসলামাবাদ বলেছে, টিটিপির নেতারা প্রতিবেশি আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন; যেখানে তারা পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালানোর জন্য ইসলামি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনা করছে।
রোববার (২৬ মে) পাকিস্তান জানিয়েছে, আফগানিস্তানে বসে পরিকল্পনা করে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ৫ চীনা প্রকৌশলীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ১১ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পাকিস্তানের তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাবুল।