ভারতে নির্বাচন : শেষ দফার দিনই বৈঠক ডাকল ইন্ডিয়া জোট

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও বিরোধীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ বৈঠক ডাকল ইন্ডিয়া জোট। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা ভোট হবে ১ জুন। আর সেদিনই হঠাৎ বৈঠক ডেকেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইন্ডিয়া। দিল্লিতে ওই বৈঠক হবে। জোটের সব শরিক দলকে সেখানে অংশ নিতে বলা হয়েছে। সেখানে আলোচনা হবে ভোটে জোটের অবস্থান ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে। খবর- ইন্ডিয়া টুডে।

অর্থপাচারের মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত থাকলেও মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করতে হবে ২ জুন। এর ঠিক এক দিন এবং নির্বাচনের ফল প্রকাশের চার দিন আগে এ বৈঠক ডাকা হলো। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও বৈঠকে ডাকা হয়েছে। এ ছাড়া তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন, বিহারের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবসহ বিরোধী জোটের সব প্রধানকে মূল বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

universel cardiac hospital

শনিবার লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ পর্ব শেষ হওয়ার পর কংগ্রেস দাবি করে, ইন্ডিয়া জোট এরই মধ্যে মোট ৩৫০ আসনের মধ্যে ২৭২ আসনের বেশি পেয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি জোটের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশও দাবি করেছেন, ইন্ডিয়া জোট বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে প্রস্তুত। বিজেপির বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটে লড়াই করতে একজোট হওয়া ২৮ বিরোধী দলের সমন্বয়ে গঠিত হয় ইন্ডিয়া জোট।

অন্যদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, ষষ্ঠ দফা ভোটের ফল ছাড়াই এখন পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩০০ থেকে ৩১০ আসন পেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তাঁর দাবি, ২০২৪ সালে জনগণের এই সমর্থনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা হলো- জনগণের বিশ্বাস, দেশ যে পথে চলছে সেটিই সঠিক পথ।

শনিবার ষষ্ঠ দফা ভোট শেষে বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিজেপির এই নেতা আরও বলেন, এবার ভোটের আগে আমরা ১০ বছরের ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড এবং আগামী ২৫ বছরের শক্তিশালী ইতিবাচক এজেন্ডা নিয়ে জনগণের কাছে গিয়েছিলাম।

ফলাফল যদি নিজেদের পক্ষেই থাকে, তাহলে এত অনিশ্চয়তা কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ বলেন, আমি মনে করি মিডিয়ার একটি বড় অংশ এখনও আমাদের গ্রহণ করছে না। আদর্শ ছাড়া কোনো রাজনৈতিক নেতা থাকা উচিত নয় এবং আদর্শের কোনো সাংবাদিক থাকা উচিত নয়। কিন্তু হয়েছে ঠিক উল্টোটা। সাংবাদিক হয়েছেন আদর্শের এবং নেতারা আদর্শহীন।

শেয়ার করুন