প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশজুড়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে ২০ হাজার ১৪৩টি মোবাইল অপারেটর সাইট বা টাওয়ার এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে মোবাইল টাওয়ারগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকাল পর্যন্ত সবশেষ তথ্য বলছে, দেশের ৬৪ জেলায় মোবাইল অপারেটর সাইট রয়েছে ৫৮ হাজার ২৯৮টি। তবে ঘূর্ণিঝড় প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ১৭টি। মোবাইল নেটওয়ার্ক সাইট অসচল রয়েছে ২০ হাজার ১৪৩টি এবং সচল হয়েছে ৩৮ হাজার ১৫৫টি। ফলে এখনও ৩৪ শতাংশ সাইট অসচল রয়েছে এবং ৬৫ শতাংশ সচল সাইট হয়েছে।
অসচল সাইটগুলো অধিকাংশই দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে বর্তমানে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় সংযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই সাইটগুলো সচল করা হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দীর্ঘ ভোগান্তির সমাধানে দেশে মোবাইল নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা সচল রাখা জরুরি। ফলে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এই অচলাবস্থা থেকে মুক্ত করে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিতের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ আইন বোর্ডসহ সাতটি দপ্তর, একজন উপসচিব ও সাতটি বিভাগের প্রধানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ।
বিটিআরসির মহাপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপক’লসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জেলাতে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে পড়েছে। ফলে মোবাইল অপারেটরদের সাইটগুলো থেকে দুর্যোগ কবলিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এতে দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম ও তাদের সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে জনসাধারণের সাথে টেলিযোগাযোগ সম্ভবপর হবে না।
দেশের ৪৫ জেলার সকল মোবাইল অপারেটরদের সাইটগুলোতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অচলাবস্তায় রয়েছে। ফলে এসব সাইটে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা খুবই জরুরি।
ফলে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিত করতে উপকূলীয় জেলাসহ সংশ্লিষ্ট সব জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ করাসহ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন এলাকায় দ্রুত সময়ে বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।