পরিকল্পিত নীলনকশার মাধ্যমে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে (ডিডব্লিউ) কাজে লাগিয়ে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে বাদ দিতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ছক এঁকেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মদতপুষ্ট প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং নেত্র নিউজ।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের নিয়ে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্র যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ, তা দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর আধুনিক থিঙ্কট্যাংক হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর ডেমোক্রেসির (এনইডি) তহবিল ও পরিকল্পনায় বাংলাদেশের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য হওয়া সবশেষ নাটক এই তথ্যচিত্র।
মঙ্গলবার (২৮ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথু মিলারকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রবাসী বিএনপিপন্থিদের সুরে কথা বলতে দেখা গেছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের আগের দিন ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন সংস্থা এনইডির পরিকল্পনার শেষ নাটকটি মঞ্চস্থ হয় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই ব্রিফিংয়ে।
বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিক ফজল আনসারীর পরিকল্পনায় তৈরি করা নেত্র নিউজ ও ডয়চে ভেলের বিতর্কিত প্রতিবেদনকে সামনে এনে জাতিসংঘ বাহিনীতে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, যা ছিল দু-পক্ষের সাজানো নাটক।
নাটকের পটভূমি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ থেকেই বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে মেতে ওঠে সুইডেনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেত্র নিউজ ও টকশো সঞ্চালক জিল্লুর রহমানের এনজিও সেন্টার ফর গভার্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
দুটি প্রতিষ্ঠানই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর থিংকট্যাঙ্ক এনইডির তহবিলে পরিচালিত। আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা পর্যবেক্ষকদের মতে, সিআইএর এজেন্ডা বাস্তবায়নে এনডিএ বিভিন্ন দেশের কথিত সুশীলদের ওপর ভর করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে।
নির্বাচনের পর থেকেই জিল্লুর তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল এবং চ্যানেল আইর তৃতীয় মাত্রা ইউটিউব চ্যানেল থেকে ব্যাপক প্রচারণায় নামেন। সে অনুযায়ী তার টকশোর মূল বিষয়ই হয়ে ওঠে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে কী কী নিষেধাজ্ঞা আসছে।
জিল্লুরের গত সাড়ে চার মাসের টকশোগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সরকারবিরোধী আলোচকদের এনে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভবিতব্য নিষেধাজ্ঞা আসার কথা তুলে জল ঘোলা করাই ছিল এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত টকশোর মূল প্রতিপাদ্য।
ডয়চে ভেলের দ্বিচারিতা
সিজিএসের এসব রাষ্ট্রবিরোধী কাজের সঙ্গে মার্কিনিদের তহবিলে চলা সুইডেনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেত্র নিউজ নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করে ডয়চে ভেলেকে কাজে লাগিয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, নেত্র নিউজের পরামর্শেই ডয়চে ভেলে চিঠি লেখে বাংলাদেশের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিংকে (বিআইপিএসওটি)। রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত বিআইপিএসওটি শান্তিরক্ষীদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেয়া দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রতিষ্ঠান।
চিঠিতে বলা হয়, জাতিসংঘ বাহিনীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা নিয়ে ডয়চে ভেলে প্রতিবেদন করবে। ঢাকায় অবস্থানরত ডয়চে ভেলের ফ্রিল্যান্সার নাহিদ আনজুমানকে চিত্র ধারণের অনুমতি দিতে চিঠি মারফত অনুরোধ করা হয়।
নির্দিষ্ট দিনে জামায়াত নেতা ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মীর কাশেম আলীর চ্যানেল দিগন্ত টিভির সাবেক চিত্রসাংবাদিক নাহিদ আনজুমানের জন্য শুটিংয়ের আয়োজন করা হয়। নাহিদ আনজুমান তার টিম নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে শুটিং করেন, অফিসারদের বক্তব্য নেন; সবই জাতিসংঘ বাহিনী নিয়ে।
কিন্তু নেত্র নিউজের পরিকল্পনায় এই শুটিংয়ের পেছনে ছিল অন্য উদ্দেশ্য। এই ভিডিওর সঙ্গে শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধকালীন ভিডিও মিলিয়ে বাংলাদেশ বাহিনীর মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্ন তোলে ডয়চে ভেলে।
ডয়চে ভেলের রিপোর্টের শুরুতে জাতিসংঘ মিশনের জন্য বাংলাদেশের সেনা ও পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কিছু ভিডিও দেখানো হয়। এরপরই তারা শুরু করে উদ্দেশ্যমূলক বয়ান। কিছু বক্তব্য গলার স্বর পরিবর্তন করে প্রচার করে ডয়চে ভেলে দাবি করছে, তারা একসময় র্যাবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু তাদের চেহারা দেখানো তো দূরের কথা, নাম-পরিচয় কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের দেখানো হয়নি কিংবা পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি; কিন্তু প্রশ্ন তো উঠতেই পারে, এমন কোনো ব্যক্তি কি আদৌ আছেন? নাকি পুরোটাই কারো মস্তিষ্কপ্রসূত প্লট? এসব বিবেচনায় কেউ কেউ বলছেন, এই ভিডিওকে কল্পকাহিনি কিংবা ফিকশন বলা যেতে পারে, কোনোমতেই তথ্যচিত্র কিংবা ডকুমেন্টারি নয়।
বিগত বছর ডয়চে ভেলের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ডয়চে ভেলে ও নেত্র নিউজ একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশিরা তখন এর প্রতিবাদ করে বার্লিনে ডয়চে ভেলের সদর দফতরের সামনে প্রতিবাদ পর্যন্ত জানিয়েছিলেন।
মানবাধিকার নিয়ে কথা তোলা ডয়চে ভেলের আসল রূপ উন্মোচন হয় ফিলিস্তিনে চলমান ইসরাইলের আগ্রাসন নিয়ে নির্লিপ্ত আচরণের মাধ্যমে। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হলেও ইসরাইলের অন্ধ সমর্থক হওয়ায় ডয়চে ভেলে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চুপ।
এমনকি ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হলেও জার্মানিতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা করলেই এন্টিসেমাইট বা ইহুদিবিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের শক্ত জবাব
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডয়চে ভেলের এমন মনগড়া প্রতিবেদন নিয়ে বলেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে কিছুদিন আগে গৃহযুদ্ধ মোকাবিলা করা দেশ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করা হয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে যে কোনো সংস্থার অঙ্গীকারের প্রশংসা করি আমি। ডয়চে ভেলে যদি মানবাধিকারের প্রতি এত অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে সেটির প্রমাণ দিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, গণহত্যা হচ্ছে সেটার ওপর প্রামাণ্যচিত্র বানিয়ে মানবাধিকারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রমাণ করুক। একইসঙ্গে তাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটাও তারা প্রমাণ করুক।’
সেটি করতে না পারলে বাংলাদেশকে নিয়ে ডয়চে ভেলের প্রামাণ্যচিত্র একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন এম এ আরাফাত।
তিনি বলেন, ‘একটা বিশেষ মহল বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করেছে। যারা প্রকৃত অর্থে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনের সমস্যা এবং তাদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলে না। বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে খাটো করে দেখানোর যে অপচেষ্টা করে, তারই অংশ হিসেবে এই প্রামাণ্যচিত্র বানানো হয়েছে।’
সিজিএস-নেত্র নিউজের রাষ্ট্রদ্রোহিতা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা আফ্রিকার দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে চলেছেন। পেশাদার মনোভাব, অবদান ও আত্মত্যাগের ফলে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে শীর্ষ শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান সুসংহত করেছে বাংলাদেশ। গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য বিভিন্ন সময়ে স্বীকৃতিও মিলেছে জাতিসংঘের।
কিন্তু এতসব ইতিবাচক দিক থাকার পরও ডয়চে ভেলে ও নেত্র নিউজ কোন উদ্দেশ্যে, কাদের লাভের জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক কাজ করে চলেছে? ২৯ মে শান্তিরক্ষী দিবসের আগে আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় এ ধরনের রিপোর্ট করে তবে কি বাংলাদেশের জাতিসংঘ মিশন বন্ধের পাঁয়তারা চলছে?
এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার, যুক্তরাষ্ট্র জিল্লুর রহমানের সিজিএসকে ফান্ডিং করছে গণতন্ত্র বিকাশের কথা বলে। আর তাসনিম খলিলের নেত্র নিউজকে ফান্ডিং করছে আইনি সহায়তা ও মানবাধিকারের কথা বলে। আর দুটি সংস্থাই জেনেবুঝে টাকার কাছে জলাঞ্জলি দিচ্ছে দেশের সুনাম ও স্বার্থ।
এদিকে অপ্রমাণিত ও দুর্বল তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি ডিডব্লিউর প্রতিবেদনটিকে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, বদমতলব নিয়ে উসকানিমূলক এ ধরনের খবর প্রচার করা হচ্ছে। আর এ জন্য অনেক আগে থেকেই নিজেদের প্রস্তুত করেছে ডিডব্লিউ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ থেকে লোক না নেয়ার ষড়যন্ত্র অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এ ষড়যন্ত্র অতীতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব সেটা করে আসছে।’
২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতির সময় থেকে এটা চলে আসছে জানিয়ে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে অর্থ দিয়ে এসব করানো হচ্ছে। তারা যেখান থেকে অর্থ পায়, সেগুলো সবই এনজিও। তারা প্রায় সবাই বিদেশি অর্থে পরিচালিত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়া নিউজ করা হয়।’
ডিডব্লিউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করার জন্য গেল ২৩ বছরে বাংলাদেশকে ২৫ কোটিরও বেশি মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ অর্থ পেয়েছে। এটা কোনো সাহায্য নয়। জাতিসংঘ থেকে সেবার মূল্য নিয়েছে বাংলাদেশ, এটা খয়রাত না।’
সিনিয়র সাংবাদিক ও গবেষক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের যে বাহিনীগুলো বিশ্ব শান্তি রক্ষায় কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালায়, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হিসেবে জাতিসংঘ তাদের মুখোশ খুলে দেবে এবং প্রকৃত তথ্য ও সত্য বলে দেবে।’
গত বছরের জুনে ডিডব্লিউ র্যাবকে নিয়ে আরেক তথ্যচিত্র প্রকাশ করে এবং জাতিসংঘের মিশন থেকে এর সদস্যদের বাদ দেয়ার জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা করে। এছাড়া কাতারভিত্তিক আল জাজিরার “অল প্রাইম মিনিস্টার’স মেন” শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে তাদের। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে কল্পনাপ্রসূত খবর প্রকাশ করা হয়।
সামাজিক মাধ্যমে ‘গুজবগুরু’ নামে পরিচিত তাসনিম খলিল। নেত্র নিউজের এ সম্পাদক ২০০৬ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পরামর্শদাতা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক বিএনপি-জামায়াত সরকারের দুর্নীতিবাজ সাবেক কর্মকর্তা শামসুল আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘গুজব সেল’-এর অর্থায়নে তিনি কাজ করছেন বলে অভিযোগ আছে।
আগেই বলা হয়েছে, বাংলাদেশিদের দিয়ে পরিচালিত যেসব সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের টাকা পায় তাদের মধ্যে অন্যতম নেত্র নিউজ। এই টাকা দেয় দেশটির এনইডি। এই এনইডিকে বলা হয় আধুনিক সিআইএ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন দেশে তৎপরতা চালায় এনইডি। এ জন্য তারা অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন এবং সংস্থাকে ব্যবহার করে। একইভাবে বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বিতর্ক উসকে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অবদানে কালিমা লেপনে তৎপর হয়ে উঠেছে তারা।