স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমার থেকে কোনো মানুষকে আর আসতে দেওয়া হবে না। সে রোহিঙ্গা হোক বা অন্য কেউ হোক কাউকেই আর আসতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মত বিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রের ঝনঝনানি, তারা (রোহিঙ্গারা) বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত, এ কারণে ক্যাম্পে খুন-হত্যা হচ্ছে। এসব বন্ধে বিজিবি, এপিবিএন এবং সেনাবাহিনীও কাজ করছে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আরাকান আর্মি এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সরকারের বিরুদ্ধে আরাকান আর্মি ছাড়াও আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল যুদ্ধ করছে। এ কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই ক্যাম্পে হত্যা বন্ধ হোক, কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ক্যাম্পের কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে যেন কোনো রোহিঙ্গা বের হতে না পারে সে জন্য নষ্ট হয়ে যাওয়া কাঁটাতারগুলো সংস্কার করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কক্সবাজার আগামী পাঁচ বছর পর একটি সুন্দর শহরে পরিণত হবে। এখানে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে, ট্রেন এসেছে। ভবিষ্যতে এখানে পর্যটন হাব হতে যাচ্ছে। অন্য দিকে মাতাবাড়ির পোর্ট সিটিকে নতুন করে উন্নয়ন করা হচ্ছে। কাজেই এটার নিরাপত্তা এবং কীভাবে এটাকে সুন্দর করা যায় সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে দেশি-বিদেশি কোনো সংস্থা যেন প্রলুব্ধ করতে না পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। সীমান্ত দিয়ে যেন নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে বিজিবিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আনোয়ার হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।